কলকাতা: একুশের ভোটে বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর নতুন সরকার গড়েই সংগঠনকে আরও মজবুত করার কাজ শুরু করেছেন দলনেত্রী৷ রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীর দায়িত্ব সঁপা হয়েছে সায়নী ঘোষের হাতে৷ এক সময় নিজেও যুব সংগঠন থেকে রাজনীতির যাত্রা শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তাই নিজের হাতেই গড়ে তোলার দায়িত্ব নিলেন তিনি৷ তৃণমূল ভবনে সায়নীকে নিজে রাজনীতির পাঠ দিলেন দলনেত্রী৷
আরও পড়ুন- মুকুল দা ঘোলা জলের মাছ, তবে এদিক-ওদিক করার তো বয়স আছে, কটাক্ষ বাবুলের
সংগঠনকে কী ভাবে শক্তি হাতে ধরা যায় সায়নীকে সেই মন্ত্রই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার উপদেশ দিলেন তিনি৷ দলের নয়া যুব সভানেত্রীকে তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেছেন, চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রজন্ম, যাঁরা রাজনীতি আঙিনায় সক্রিয়, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে৷ কী ভাবে এগিয়ে যাবেন, কী আদেশ পালন করতে হবে তা জানতে চেয়েছিলেন সায়নী৷ এর জবাবে দলনেত্রী বলেছেন, সব সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে যুব তৃণমূল কংগ্রেসকে৷ এছাড়াও কোনও দলীয় সদস্যের ব্যক্তিগত কাজে যেন দলের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়, সে দিকে খেযাল রাখতে হবে৷ মমতা আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই দলের লক্ষ্য৷
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূলে ফিরে মানসিক শান্তি পেল মুকুল’, অভিমত দলনেত্রীর
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওযার পরেই এক ব্যক্তি এক পদ নীতি মেনে যুব সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি৷ সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা সায়নীকে৷ দায়িত্ব ছাড়ার আগে সায়নীকে ভালো ভাবেই কাজ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক৷ এবার ক্লাস নিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সায়নীর কাঁধে যে অনেক বড় দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন দলনেত্রী, তা স্বীকার করেছেন রাজনীতির কারবারিরা৷ এবার থেকে নিয়ম করে প্রতিদিন তৃণমূল ভবনে বসার কথাও সায়নীকে বলা হয়েছে৷ সেখান থেকেই যুবনেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন৷ বৈঠক করবেন যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে৷ উল্লেখ্য, তৃণমূল বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলেও আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছিলেন সায়নী৷