ফের কি বঞ্চিত তৃণমূলের তরুণ তুর্কি দেবাংশু ভট্টাচার্য?

ফের কি বঞ্চিত তৃণমূলের তরুণ তুর্কি দেবাংশু ভট্টাচার্য?

444252b38941d4369456313f74308ce5

কলকাতা:  ভোটের আগে অনেকেই ভেবেছিলেন একুশের বিধানসভায় হয়তো টিকিট পাবেন দেবাংশু ভট্টাচার্য৷ কিন্তু তিনি টিকিট পাননি৷ যা নিয়ে কম জল্পনা হয়নি৷ তবে বিরোধীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেবাংশু কাজ করে গিয়েছেন নিজের মতো করে৷ দেবাংশুর স্লোগান আর পরিশ্রম তৃণমূলের জয়ের নেপথ্য কাণ্ডারী হয়ে ওঠে৷ 

আরও পড়ুন- চাকরির টোপ দিয়ে ঘুষ, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ‘শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ’ রাখাল

তিনি ছিলেন তৃণমূলের যুব সম্পাদক৷ তৃতীয়বার বিপুল ভোটে তৃণমূলের জয়ের পর রাজনীতির কারবারিরা ভেবেছিলেন এবার হয়তো দায়িত্ব বাড়বে তাঁর৷ যুব তৃণমূলে তাঁর জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে৷ কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া মসনদের দায়িত্ব দেওয়া হল সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সায়নী ঘোষকে৷ ফের বঞ্চিত হলেন নাকি তৃণমূলের এই তরুণ তুর্কী? 

ভোটে টিকিট না পেয়ে দিদির কাছে ছুটি চেয়েছিলেন দেবাংশু৷ ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন, ‘‘দিদি জিতবেন৷ দিদির পায়ে সবুজ আবীর দিয়ে বলব, দিদি আপাতত ছুটি৷’’ সেই সঙ্গে দিয়েছিলেন রাজনৈতিক সন্ন্যাসের ইঙ্গিত৷ ২ বছর আগে ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা জড়িয়ে এই দেবাংশুই শপথ নিয়েছিলেন, ২০২১-এ ফের মমতাকে ক্ষমতায় আনতে প্রাণ লড়িয়ে দেবেন তিনি৷ তৃণমূলের জয়ের পথ প্রশস্থ করতে তাঁর লড়াই দেখেছে গোটা রাজ্য৷ কিন্তু এই লড়াকু তরুণ নেতাকে কী দিল তৃণমূল? 

এর আগে কিছুটা অভিমানের সুর শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়৷ দেবাংশু বলেছিলেন, ‘আমার রাজনৈতিক কার্যকাল হয়তো কেউ মনে রাখবে না৷ আমার ফেসবুক পেজটা আর্কাইভে থেকে যাবে৷ চার-পাঁচ বছর পর রাজনৈতিক ময়দান থেকে আমি মুছে যাব৷ ইতিহাস খুঁজলে হয়তো আমার নামটা পাবে৷ এর বেশি কিছু চাই না৷’’ 

আর ভোটে জেতার পর ফেসবুক লাইভে এসে আবেগে কেঁদে ফেলেছিলেন দেবাংশু৷ বিজেপিকে একের পর এক আক্রমণে দেবাংশুর দাবি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বাবের জন্য নবান্নে যাবে৷ ২ মে জনগণের রায় স্পষ্ট হতেই আবেগে ভাসেন এই তরুণ নেতা৷ শ্রদ্ধা জানান তৃণমূল সুপ্রিমোকে৷ দেবাংশুকে এক সময় প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল৷ ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকত বাড়ির লোক৷ কিন্তু তাতেও তিনি থেমে থাকেননি৷ সেই দেবাংশুর হাত তবে আজও শূন্য৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *