কলকাতা: ঘুষের বিনিময়ে চাকরির টোপ দেওয়া চক্রে জড়িয়ে একাধিক ব্যক্তি৷ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এল এমনই তথ্য৷ অভিযোগ, সেচ দফতরের গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল৷
আরও পড়ুন- ‘আমি এসে গিয়েছি, সমস্যা মিটে যাবে’, যুব সভানেত্রী হয়েই বার্তা সায়নীর
প্রতারণার অভিযোগে রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করে মাণিকতলা থানার পুলিশ৷ প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা তুলেছিলেন রাখাল৷ সেই সময় সেচ মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ চাকরির টোপ দিয়ে ঘুষ নেওয়া কাণ্ডে শুধু শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার নমই জড়ায়নি৷ জানা গিয়েছে তিনি একা নন, আরও অনেকে এর সঙ্গে জড়িত৷ কারা কারা এই চক্রে যুক্ত ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ এই চক্রে চঞ্চল নন্দী নামে আরও এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে৷ সেচ দফতরেরই প্রাক্তন কর্মী তিনি৷ চঞ্চল নন্দী কিন্তু পলাতক৷ কাঁথির বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ৷ রাখাল বেরাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি চঞ্চল নন্দীর খোঁজও শুরু হয়েছে৷
এদিকে রাখাল বেরার আইনজীবীর অভিযোগ, তাঁর মক্কেল শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ৷ তাই রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে৷ এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি৷ অন্যদিকে পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্তকে আজ শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হবে৷ তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হবে৷ এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে৷