জলপাইগুড়ি: পাহাড়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে এক অন্য আবেগ৷ পাহাড়ের হাতছানি কেউ উপেক্ষা করতে পারে না৷ আর বাঙালির অন্যতম ডেস্টিনেশন দার্জিলিং৷ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামার পরই দু’হাত তুলে পর্যটকদের আহ্বান জানায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। টয় ট্রেনে চেপে দার্জিলিংয়ে ঘোরার মজাই যেন আলাদা। তবে সেই টয় ট্রেনের কামরাকে কাজে লাগিয়েই কোচ রেস্তরাঁ তৈরির পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল৷ ইতিমধ্যেই এই রেস্তোরাঁ তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- প্রশ্ন ফাঁস রুখতে সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই সিসিটিভির নজরদারি! মাধ্যমিক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পর্ষদের
শুধু তাই নয়, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের আধুনিকীকরণের ব্যাপারেও উদ্যোগী রেল কর্তৃপক্ষ৷ এই বিষয়েও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি এনজিপি নিয়ে বড় পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি এনজেপিতে টয় ট্রেনের কামরায় সাজছে নয়া রেস্তোরাঁ৷
রেল সূত্রে খবর, শুধু এনজিপি-তেই নয়, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে রেলের কামরা দিয়ে কোচ রেস্তরাঁ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এবার সাধারণ ট্রেনের কামরা দিয়ে নয়, টয় ট্রেনের কামরায় গড়ে তোলা হচ্ছে কোচ রেস্তরাঁ৷ পাহাড়ের কোলে টয় ট্রেনের কামরা দিয়ে রেস্তরাঁ তৈরির উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অভিনব। একদিকে যেমন থাকবে টয় ট্রেনের ঐতিহ্য৷ তেমনই অন্যদিকে থাকবে আধুনিকতার ছোঁয়া৷ ফলে এক অন্যন্য অভিজ্ঞতা হতে চলছে পর্যটকদের।
এর আগে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের বাইরে তৈরি হয়েছিল এক কোচ রেস্তরাঁ৷ এবার এনজেপি স্টেশনের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আরও এক কোচ রেস্তরাঁ।সিপিআরএ সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, পুরো স্টেশনটের আধুনীকিকরণ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট কোনও প্লাটফর্ম নয়, পুুরোটাই রি ডেভলপ করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কোচ রেস্তোরাঁ একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সব জায়গাতেই কোচ রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। তবে এনজেপির বিশেষত্ব হল এখানে ন্যারোগেজ লাইন রয়েছে। যা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের একটা সম্পদ। সেটা নিয়েই কোচ রেস্তরাঁ তৈরি হচ্ছে। বাইরে অন্য একটি রেস্তরাঁ চালু হয়ে গিয়েছে। সেই রেস্তোরাঁর প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশ ভালোই৷ আমাদের আশা ভেতরের রেস্তোরাঁ আরও সুন্দর হবে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>