দিঘা: দোল উৎসবে মেতে বাঙালি সমুদ্র পাড়ে ভিড় জমায়। গত বছর পর্যন্তও দিঘার চেনা ছবি ছিল এটাই। তিলধারণের জায়গা থাকত না এই সৈকতনগরীতে। এই বছর আরও বেশি লোকসমাগম হওয়ার কথা ছিল। কারণ শনি, রবিবারের ছুটির পর আবার মঙ্গল, বুধের ছুটি একটা লম্বা সময় দিত বাঙালিকে। তবে তা হয়নি! এবারের দোলে চেনা জনস্রোত আছড়ে পড়েনি দিঘায়। রঙের উৎসবের দিন কার্যত জনশূন্য ছিল সমুদ্র পাড়। আর এতেই নতুন আশঙ্কার মেঘ দেখছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন- রাত ছিল নিদ্রাহীন, ইডি হেফাজতে দিল্লির প্রথম সকাল কেমন গেল ‘কেষ্ট’র?
দিঘা শুধু নয়, তাজপুর, মন্দারমণি, শঙ্করপুর-সহ সমুদ্র তীরবর্তী জনপদগুলিতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে এবার। হোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সব মিলিয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হোটেলে পর্যটকেরা উঠেছিলেন দিঘায়। তাই সমুদ্র সৈকত প্রায় ফাঁকা ছিল বললেই ভালো হয়, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে বেনজির ব্যাপার। ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে, হয়তো অন্য কোনও জায়গা পর্যটকদের বেশি পছন্দ হয়ে গিয়েছে এবার। কিন্তু তাই যদি হয় তাহলে তো আগামী সময়ের জন্যও দিঘার জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে থাকবে। সেটা আবার অন্য আশঙ্কা। যদিও অন্য একাংশের মত, আগাম বুকিং ছিল না। তা ছাড়া স্পট বুকিংয়েও আগ্রহ দেখাননি পর্যটকরা। তাই এই হাল হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”নিজের বাড়িতেও থাকছেন না বাদামকাকু! Bhuwan Badyakar losing social media stardom?” width=”560″>
এক্ষেত্রে আবার অন্য কিছু বিষয় নিয়েও ভাবা হচ্ছে। দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে, দুর্গাপুজোর পর থেকেই বিশেষ দিনগুলিতে দিঘায় ভিড় তেমন জমছে না। দিঘা থেকে পর্যটকরা হয়তো মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন যা কাম্য নয়। এতে আগামী দিনে পর্যটন শিল্পে বিরাট ক্ষতি হবে। অন্যদিকে, মন্দারমণি হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনের দাবি, বিগত কয়েক বছরে মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বদলেছে। এদিকে বেশিরভাগ জায়গায় হোটেল গজিয়ে ওঠার কারণেও সার্বিকভাবে মানব শূন্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ঘুরতে আসা লোকসংখ্যা যে কমছে তাও বাস্তব।