কলকাতা: নতুন মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে সোমবারই জয়ী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি আজই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি৷ জানা গিয়েছে জয়ী বিধায়কদের পাশাপাশি দলের শীর্ষ নেতা তথা কোর কমিটির সদস্যরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন৷ মন্ত্রিসভা গঠন নিয়েই মূলত আলোচনা হবে আজ৷
আরও পড়ুন- ‘মানুষ বামেদের হাতে ফুঁটো বাটি ধরিয়ে দিয়েছে, গোটা ব্যবস্থাপনা এখন উলঙ্গ’
গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন দ্রুত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সেরে নিতে চান তিনি৷ তবে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যে আড়ম্বর দেখা গিয়েছিল, একুশে তেমন কোনও আড়ম্বর থাকবে না৷ কোভিড পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সাদামাটা ভাবেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সেরে নিতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো৷ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার মমতার মন্ত্রিসভায় একাধিক নতুন মুখ দেখা যেতে পারে৷ বিশেষত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও স্বল্পবয়সীদের গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে৷ এই বিষয়েই আজ বিকেল ৪টে নাগাদ তৃণমূল ভবনে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনায় বসবেন৷ এরপর সন্ধে ৭টায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি৷ আজ থেকেই কার্যত শুরু হতে চলেছে প্রশাসনিক কাজকর্ম৷
আরও পড়ুন- ফ্রিতে টিকা না দিলে ফের রাস্তায় নেমে বিদ্রোহের হুঁশিয়ারি মমতার!
২০১১ সালে বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০২১-এ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধে লড়ে ফের নীলবাড়ি দখল৷ কোন জয়টা বেশি তৃপ্তীর? জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১১ সালে পরিবর্তন আনা নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ ২০১৬ টাও গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে ২০২১ এ জেতাটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল৷ দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর লড়াই৷ বাংলার মানুষ এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তাঁদের মেরুদণ্ড এখনও খুব সোজা৷
প্রসঙ্গত, দক্ষিণের পাশাপাশি এবার উত্তরবঙ্গেও সবুজ ঝড়৷ যেখানে ২০১৯ সালে পদ্ম চাষ হয়েছিল, সেই উত্তরবঙ্গেও প্রায় দ্বিগুন আসনে জয় ছিনিয় নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ভাঙা পায়েই করেছেন বাজিমাত৷