কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস এবং খোদ নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে বাইরে থেকে বহিরাগত গুন্ডা ঢোকাচ্ছে। এমনকি কোন কোন বাড়িতে তারা রয়েছে সেই ব্যাপারেও নাকি খোঁজ নিয়েছে ঘাসফুল শিবির এমন দাবি তোলা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। এবার শুধু নন্দীগ্রাম নয় জেলার মধ্যে বহিরাগত গুন্ডাদের আনছে বিজেপি এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই ব্যাপারে তারা ভীত নয় কিন্তু অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে শঙ্কিত।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নির্বাচনী প্রচারে ভিন রাজ্যের বিভিন্ন মানুষ আসছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে। রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শশী পাঁজা ও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ব্রায়ান সহ তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ জানান। পরে সাংবাদিকদের কাছে সুব্রত বাবু বলেন, বিশেষত উত্তর প্রদেশ থেকে সশস্ত্র বাহিনী আসায় এলাকাবাসীরা ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে হরিপুর, রামচক গোপালচক প্রভৃতির এলাকার বিভিন্ন গেস্ট হাউজ, স্কুলে প্রচুর ‘সমাজ বিরোধীরা’ আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি বলেন, তাঁরা এ ব্যাপারে ভীত নন, তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের হওয়ার ব্যাপারে শঙ্কিত।
আরও পড়ুন- মনোনয়ন দিতে গিয়েও ফিরলেন গেরুয়া প্রার্থী! শেষ মুহূর্তে বড় সিদ্ধান্ত বিজেপির
উল্টোদিকে, বিজেপি নন্দীগ্রামে ৪১ জনের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে! যাদের মধ্যে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। প্রথম দফা নির্বাচনের দিনই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ৪১ জনের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। সেখানে নাম রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ ভোটে মানুষ যাতে নির্ভয় ভোট দিতে পারেন দ্বিতীয় দফায় তার নিশ্চয়তা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই কারণেই এত জনের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে তাদের। যাদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজকর্ম জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং পুরনো মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে এমন দাবি তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। পদ্ম বাহিনীর আশঙ্কা, এরা নির্বাচনের দিন অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেন এবং সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট প্রভাবিত করতে পারেন।