কলকাতা: একদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, অন্যদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, এই দুজনকে নিয়ে এখন রীতিমতো উত্তাল রাজ্যের রাজনীতি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধিতা আরো চরমে উঠেছে, এদিকে আবার সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠক নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এর আগে একাধিকবার রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আবার সলিসিটর জেনারেল তুষারের অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু এখানেই থেমে থাকতে চাইছে না শাসক শিবির। সূত্রের খবর, এবার এই দুজনের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি দরবারে যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্ভাবনা রয়েছে আগামী সপ্তাহে শাসক দলের প্রতিনিধিরা যাবেন রাইসিনা হিলস।
বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যেভাবে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে এই ধরনের পদক্ষেপ শাসক দলের পক্ষে খুবই স্বাভাবিক। সম্প্রতি আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জৈন হাওয়ালা মামলা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে রাজ্যপালের নাম টেনেছেন। তাতে বাংলার তথা দেশের রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে নারদ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী হঠাৎ হাজির হন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়িতে। দুজনে এইভাবে বৈঠক কী করে করলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতেই এবার এই দুজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল, সূত্রের খবর এমনটাই। যদিও তৃণমূল যে কারণ গুলিতে এই দু’জনকে বিদ্ধ করেছে সেইসব ইস্যুতে সমস্ত অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল এবং সলিসিটর জেনারেল।
আরও পড়ুন: সারদা মামলা: সুদীপ্ত সেনের বয়ান দেখিয়ে শুভেন্দুর গ্রেফতারি চাইলেন কুণাল
জৈন হাওয়ালা মামলা সম্পর্কে রাজ্যপালের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, এই মামলার চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না এবং যাদের নাম ছিল তারা অব্যাহতি পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস পরে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই মামলায় রাজ্যপালের যোগ থাকার ‘প্রমাণ’ দেখিয়েছে। অন্যদিকে সলিসিটর জেনারেল শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সাফ মন্তব্য করেছেন, আকস্মিক ভাবেই শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন৷ তবে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক হয়নি তাঁর৷