কলকাতা: বাংলাজুড়ে চলছে উৎসবের মরশুম৷ দুর্গা পুজো শেষ হতেই শুরু হয়েছে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন৷ এর পরেই আসছে দীপাবলি৷ আর পুজো মিটলেই ফের বাংলায় ভোট উৎসব৷ চার কেন্দ্রের হবে উপনির্বাচন৷ চার-শূন্য করাই এখন তৃণমূলের লক্ষ্য৷ সেই লক্ষ্য নিয়েই ভোট প্রচারে ঝাপাচ্ছে ঘাসফুল শিবির৷ প্রচারে নামবেন দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা৷
আরও পড়ুন- ‘রক্ষিতা’ রত্না! বৈশাখীর দিকে আঙুল না তুলে নিজের ব্যভিচারের দিকে তাকাক, পাল্টা শোভন
উল্লেখ্য, এই চার আসনের মধ্যে বিধানসভা ভোটে দুটি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি৷ দিনহাটা থেকে জিতেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তিপুর থেকে জিতেছিলেন জগন্নাথ সরকার৷ তবে তাঁরা দু’জনেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন ও সাংসদ পদ ধরে রাখেন৷ নিশীথ প্রামাণিক এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ বিজেপি’র দখলে যাওয়া এই দুটি কেন্দ্র এখন তৃণমূলের পাখির চোখ৷ জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন খড়দা এবং গোসাবায় প্রচারে যাবেন তিনি। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর প্রচার করবেন দিনহাটা ও শান্তিপুরে৷
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে তারকা প্রচারকদের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। কোচবিহারে পৌঁছে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম৷ দিনহাটায় প্রচারপর্ব শুরুও করে দিয়েছেন তিনি। দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূলের উদয়ন গুহ৷ নিশীথ পেয়েছিলেন ১,১৬,০৩৫ ভোট। উদয়ন গুহ পেয়েছিলেন ১,১৫,৯৭৮ ভোট।
অন্যদিকে গোসাবা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর। প্রায় ১,০৪,৭৫৮ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। এই কেন্দ্রে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী বরুণ প্রামাণিক। তিনি পেয়েছিলেন ৮১,৫১৫ ভোট। কিন্তু জয়ন্ত নস্কর মারা যাওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে এই কেন্দ্রে। আবার খড়দহ কেন্দ্রেও জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যু হওয়ায় এই আসনটিও ফাঁকা হয়ে যায়৷ কাজল সিনহা পেয়েছিলেন ৮৯,৮০৭টি ভোট। এই কেন্দ্র পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি’র প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। আবার শান্তিপুরে জয়ী বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার জানান, তিনি সাংসদ পদেই থাকতে চান৷ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় ভোট হবে শান্তিপুরে৷