‘রক্ষিতা’ রত্না! বৈশাখীর দিকে আঙুল না তুলে নিজের ব্যভিচারের দিকে তাকাক, পাল্টা শোভন

‘রক্ষিতা’ রত্না! বৈশাখীর দিকে আঙুল না তুলে নিজের ব্যভিচারের দিকে তাকাক, পাল্টা শোভন

কলকাতা: দশমী রাতে মা দুর্গাকে সাক্ষী রেখে বৈশাখীর সিঁথি রাঙিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ সিঁদুর দানের পরেই মুখ খোলেন রত্না৷ বৈশাখীকে ‘রক্ষিতা’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি৷ এবার পাল্টা রত্নার বিরুদ্ধে ‘ব্যাভিচারে’র অভিযোগ আনলেন স্বামী শোভন৷ তাঁর ব্যবসার টাকা তছরুপের অভিযোগও এনেছেন রত্নার বিরুদ্ধে৷ 

আরও পড়ুন- বাসে সহযাত্রীর কোলে বাচ্চা বসিয়ে চম্পট! একরত্তিকে নিয়ে বিড়ম্বনায় মাছ বিক্রেতা

এখানেই থেমে থাকেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ রত্না তাঁর সন্তানদের ‘কুশিক্ষা’ দিচ্ছেন বলেও তোপ দাগেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র৷ প্রসঙ্গত, শোভন বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়ার পরেই জামাতাকে ‘ব্যভিচারী’ বলে তোপ দেগেছিলেন রত্নার বাবা বিধায়ক দুলাল দাস৷ মুখ খোলেন রত্না ও শোভনের ছেলে ঋষিও৷ যদিও গোটা বিষয়টা তাঁর ও শোভনের ব্যক্তিগত বলে মন্তব্য করেন বৈশাখী৷ রত্না বা দুলালবাবুর মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তিনি৷ বলেছিলেন, আমি ওঁর (রত্নার) মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না, কিছু বলার হলে শোভন বলবে৷ এর পরেই মুখ খোলেন তাঁর বন্ধু৷ বান্ধবীর অপমান তিনি সহ্য করবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি৷ 

শোভনের বিস্ফোরক অভিযোগ, রত্না তাঁকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন৷  বৈশাখীর বিশ্বাসযোগ্যতা, ভালবাসা দিয়ে তৈরি সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে তাঁর কোনও বিশেষ বন্ধনের প্রয়োজন নেই৷ শোভনের কথায়, ‘‘ বিয়ের পরেও রত্না রক্ষিতা হয়ে গিয়েছে। অথচ বৈশাখীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা না পড়েও সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’’ কিন্তু শোভন হঠাৎ করে রত্নাকে কেন ‘রক্ষিতা’ বলে তোপ দাগলেনন?  শুধুই কি বৈশাখীকে আক্রমণের জবাব৷ নাকি অন্য কোনও কারণ।   

শোভনের বক্তব্য, একাধিক কারণে তিনি রত্নার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। কারণ তাঁর  স্ত্রী রত্না নাকি বেশ কয়েক বছর ধরে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, রত্না যে মোবাইল ফোন নম্বরটি ব্যবহার করতেন তা শোভনের ডকুমেন্ট দিয়েই নেওয়া। ওই ফোনের যাবতীয় কল রেকর্ড তাঁর কাছে আছে। রত্না যে গোপনে কলকাতার বাইরে যেতেন, ওই কল রেকর্ডে তাঁর প্রমাণ রয়েছে বলেও তাঁর দাবি৷ এমনকী ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য-সহ আরও নানা তথ্য প্রমাণ তিনি সামনে আনবেন বলেও হুঙ্কার দিয়েছেন শোভন। 

কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, ‘‘ কারও বিরুদ্ধে দোষারোপ করার আগে এটাও দেখা উচিত যে রত্না ব্যভিচারী জীবনে লিপ্ত হয়েছেন৷  এর জন্যেই আমি ডিভোর্সের মামলা করেছি। বিভিন্ন সময়ে উনি মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেলে গিয়েছেন৷ সেই সকল প্রমাণ আমার ডিভোর্স পিটিশনে দেওয়া আছে।’’ কটাক্ষ করে শোভন আরও বলেন, ‘‘আমাকে অকর্মণ্য বলছেন, আর উনি কাজের পরপুরুষের সঙ্গে লুকিয়ে অন্য জায়গা থেকে ঘুরে এলেন!’’ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × three =