কলকাতা: দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের উত্তাপে তাই এখন রীতিমতো সরগরম পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। একের পর এক দলীয় নেতার দলবদলে বিপর্যস্ত শাসক শিবিরকে আরো কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। একুশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ক্ষমতায় ফেরাতে তাই এবার মহাযজ্ঞের আয়োজন করল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- থমকে যাবে রাজধানীর রাজপথ! ফের ধর্মঘট! কবে? কখন? জেনে নিন বিস্তারিত
জানা গেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগরের তৃণমূল বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এদিন গঙ্গাবক্ষে এক মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। জেলায় জেলায় যখন বিজেপির রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক উত্তাপ তখন এই যজ্ঞের মাধ্যমে তিনি আগামী নির্বাচনে দল তথা দলনেত্রীর জয় নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। একদিকে যখন তৃণমূলের ছত্রছায়া ত্যাগ করে ভোটের মরশুমে দলীয় নেতা কর্মীরা নাম লেখাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে, অন্যদিকে তখনই সাগরের এই চিত্র নিঃসন্দেহে বহন করেছে আলাদা তাৎপর্য। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
ঠিক কী বিষয়ে প্রার্থনা করা হয়েছে এই মহাযজ্ঞে? জানা গেছে, তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যাটট্রিক করুন, এই আয়োজকদের মূল কামনা। বাংলার ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-ধর্ম ‘বহিরাগত’ বিজেপির হাত থেকে যাতে রক্ষা পায় সে প্রার্থনাও জানানো হয়েছে। বস্তুত, মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয় তৃণমূলের এই যজ্ঞের তোড়জোড়। উপস্থিত ছিলেন ১৩০ জন পুরোহিত, তিনটি ব্রাহ্মণ সমিতি এবং প্রায় ৫০০০ মানুষ। আকাঙ্ক্ষা পূরণের উদ্দেশ্যে নরনারায়ণ সেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল এই যজ্ঞ প্রাঙ্গণে।
আরও পড়ুন- ‘খেলা হবে, এবার খেলে দেখিয়ে দেব’, অনুব্রতর দুর্গে চরম হুঁশিয়ারি রাজীবের
উল্লেখ্য, প্রাক-নির্বাচনী আবহে বাংলায় শাসকদলের হাল ধরতে মাঠে নেমেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় ঘুরে জোরকদমে তিনি প্রচার চালাচ্ছেন দলের হয়ে। একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছেন গেরুয়া নেতাদের উদ্দেশ্যে। তাঁর কোপের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বাম-কংগ্রেস নেতারাও। কপিলমুনির আশ্রমের পাশে আয়োজিত তৃণমূলের এই মহাযজ্ঞের আঁচ কি লাগবে বাংলার ভোট ব্যাঙ্কে? আসবে কি সাফল্য? বলা বাহুল্য, উত্তর দেবে সময়।