‘খেলা হবে, এবার খেলে দেখিয়ে দেব’, অনুব্রতর দুর্গে চরম হুঁশিয়ারি রাজীবের

‘খেলা হবে, এবার খেলে দেখিয়ে দেব’, অনুব্রতর দুর্গে চরম হুঁশিয়ারি রাজীবের

 

কলকাতা: ফের তৃণমূল কংগ্রেসকে চাঁচাছোলা ভাষায় দুষলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আঙুল তুলে হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূমের ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকেও। বললেন, ‘‘খেলা হবে তো? ওই সরকারে থেকে বিগত নির্বাচনগুলির যারা খেলে দিয়েছিল আমরাই তারা। এবারেও খেলে দেখিয়ে দেব।’’

মঙ্গলবার তারাপীঠের চিল্লর মাঠ থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র উদ্বোধনী সভায় অনুব্রত মণ্ডলকে একহাত নিলেন রাজীব। হুমকির সুরে বললেন, “খেলা হবে তো? আমরাও এক-একজন বড় খেলোয়ার আছি। ওই সরকারে থেকে বিগত নির্বাচনগুলিয় আমরাই খেলে জিতিয়েছি। আজকে জেনে রাখুন, খেলোয়াড় একই আছে, সেই মাঠও একই আছে। শুধু জার্সি বদলেছে। আগামী দিনে খেলা দেখিয়ে দেব। কে কত ভালো খেলতে পারে প্রমাণ করে দেব। সবাই মিলে ময়দানে আসবেন তো?”

এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়েও বিস্ফোরক দাবি করেন প্রাক্তন ডোমজুড়ের বিধায়ক। তিনি বলেন, “এখনও অনেক মানুষ আছেন যাদের ভয় দেখিয়ে ধমক দিয়ে আটকে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভয়ে তারা আসতে পারছেন না। তাদের বলছি, আর কটা দিন একটু অপেক্ষা করুন।” তারাপীঠের মঞ্চ থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি রাজীব। বলেছেন, “শুনলাম নাকি আজ মাননীয়া কোথায় একটা বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছেন, দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। আমি আজকে দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, আপনার গোয়ালে দেখবেন আগামী দিনে একটাও গুরু থাকবে না। দল খালি হয়ে যাবে। আপনার গোয়াল দেখবেন এমনি শূন্য হয়ে গেছে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথার কাটাছেঁড়া করে রাজীব এর বক্তব্য, “ভাবুন তো একবার কী কথা? বলছে নাকি, যারা পাপ করে গেছে আজকে তাদের পাপ ধুয়ে গেছে। ২০১৬ সালে ২১১টা সিট পেয়েছিল তৃণমূল। কী প্রয়োজন ছিল বাইরে থেকে অন্যদের নিয়ে আসার? যখন অন্যদেরকে ভাঙ্গিয়ে ভাঙ্গিয়ে নিয়ে গেছেন তখন পাপ হয়নি? তখন ওয়াশিং মেশিন ছিলেন না। ছত্রধর মাহাতো যখন জেল থেকে বের হন তখন কোন ওয়াশিং মেশিন ছিল যে তিনি তৃণমূলে গেলেন আর সাদা হয়ে গেলেন? বিমল গুরুংয়ের কথা জানেন আপনারা, দেশদ্রোহীর আখ্যা দিয়ে এই রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেছিল সরকার। বিমল গুরুংকে ঢুকতে দেয়নি রাজ্যে। মধ্যমগ্রামের পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের হত্যাকারী হিসেবে প্রতিপন্ন সেই বিমান গুরুং, যেই তৃণমূলের সঙ্গে সন্ধি হয়ে গেল সেই সে দেশদ্রোহী থেকে দেশপ্রেমী হয়ে তৃণমূল ঢুকে গেল। তখন আর কালো সাদা রইল না। কত বড় ওয়াশিং মেশিন ভাবুন আপনারা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 6 =