কাঁথি: শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে এক তৃণমূল নেতার বাড়ি। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর খবর না এলেও বিজেপি দাবি করেছিল যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিমি দূর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক ঝলসানো দেহ। অনুমান করা হচ্ছে, এটি তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার দেহ। আরও একটি ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয়েছে আধ কিমি দূর থেকে। এই ঘটনায় বিজেপি এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ, ‘দুয়ারে রেশন’ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের
এই বিস্ফোরণ স্থল থেকে মাত্র ৪০ কিমি দুরেই আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। সেই সভার নিরাপত্তা নিয়ে এখন আরও বেশি তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে যে হইচই শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই তা বলাই বাহুল্য। বিজেপির নিশানায় আছে তৃণমূল যদিও ঘাসফুল শিবির দাবি করেছেন, এই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। বরং বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে বিজেপি আরও বড় অভিযোগ করে বলেছে, মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে গিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে পুলিশ। এদিকে এখনও স্পষ্ট নয় উদ্ধার হওয়া ওই দেহগুলি কাদের। যদি ওই দেহগুলি সত্যিই তৃণমূল নেতাদের হয় তাহলে কারা সেখানে ওই দেহগুলি বাড়িতে ঢুকে তুলে নিয়ে গেল? তাহলে কি দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল? প্রশ্ন।
বিজেপির দাবি, পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ গায়েব করার চক্রান্ত চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি না করে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করছে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত ভূপতিনগর থানার পুলিশ এবং জেলা পুলিশ কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।