কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন দু’জনে। এই দুই ব্যক্তিই হলেন তৃণমূল যুবনেতা। সেই কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবশেষে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। দু’জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন শশী পাঁজা এবং ব্রাত্য বসু। গ্রেফতারির দেড় মাস পর কুন্তলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল ঘাসফুল শিবির, আর গ্রেফতারির পাঁচ দিন পর শান্তনুর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হল দলের তরফে।
আরও পড়ুন- চিকিৎসার খরচ নিয়ন্ত্রণে জোর, বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোম নিয়ে পদক্ষেপ
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শশী পাঁজা বলেন, দলের কোনও পদে থেকে যদি কেউ দুর্নীতি করে তার দায় গোটা দল নেবে না। সেই দুর্নীতির দায় পদে থাকা ব্যক্তিকেই নিতে হবে। অন্যদিকে ব্রাত্য বসু বলেন, আসলে তাঁদের ‘অপরাধ’ যে তারা তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে পেরেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বাংলায় আছে। পাশাপাশি দুজনেই মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে সরব হন এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। মন্তব্য করেন, অন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি ইস্যুতে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না ইডি, সিবিআই। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এগিয়ে যান। আর বাংলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এদিক-ওদিক সূত্র ভাসিয়ে দিচ্ছে, দাবি করছে ৩৫০ কোটির দুর্নীতি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”প্রধান শিক্ষককে হুমকি তৃণমূলের! Local TMC leader threatens school head master” width=”560″>
এছাড়া তারা আরও বলেন, যারা বিরোধিতা করছে তাদের বিরুদ্ধেই ইডি বা সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেই ব্রাত্য বলেন, তারা অসহায় বোধ করছেন এবং আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রেই তাঁর অভিযোগ, গণমাধ্যমও একটা দিকের কথাই লিখছে, দুটো দিক তুলে ধরছে না। যদিও অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে দল কী ভাবছে তা এদিন স্পষ্ট হয়নি।