নন্দীগ্রাম: ভোটের নির্ঘণ্ট এবং প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই নন্দীগ্রাম নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে হু হু করে। কারণ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র এটাই। তার অন্যতম বড় কারণ, এই কেন্দ্রে মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। এই উত্তেজনার পারদ এর মধ্যেই গতকাল ঘটে গিয়েছে বড়োসড়ো ঘটনা। ‘গুরুতর’ আহত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে নন্দীগ্রামে। তুমুল বাদানুবাদ এবং ঝামেলা শুরু হয়ে যায় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার এলাকায়। ধস্তাধস্তি হয় তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মীদের মধ্যে। এমনকি রাস্তায় বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থকরা।
গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে সেই প্রেক্ষিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, চক্রান্ত করে কিছু জন তাঁকে ধাক্কা মেরেছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবশ্যই ভাবে তাদের নিশানায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। এদিকে গতকালের ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো বক্তব্য পদ্ম বাহিনীর। তারা বলছে, তৃণমূলের পোঁতা খুঁটিতে ধাক্কা লেগে আঘাত পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধুমাত্র সহানুভূতি পাওয়ার জন্য নাটক করছেন। মূলত এই তর্ক বিতর্ক থেকেই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রাম। তার আঁচ পড়েছে গোটা রাজ্যে। গতকাল রাতে গ্রিন করিডোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সেখানে প্রবল বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সবমিলিয়ে নন্দীগ্রামের গতকালের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপের পারদ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- বাঁ পায়ে চিড়, রয়েছে শ্বাসকষ্ট, ‘একটা পিঁপড়েও ওঁর কাছে যায়নি’! বিস্ফোরক শিশির
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের কাছে সম্পূর্ণ রিপোর্ট চেয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার কথা আলোচনা হয়েছে। জেড প্লাস নিরাপত্তা প্রায় ৫৫ জন নিরাপত্তা রক্ষীর বলয়। এখানে এন এস জি ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো এবং সি আর পি এফ নিযুক্ত থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ষড়যন্ত্র করে তাকে ধাক্কা মেরেছে। রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা তিনি পান। কী করে সেই নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কয়েকজন তাকে আঘাত করে পালাল তার সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছে না অনেকেই। সিবিআই বা এন আই এ স্তরের তদন্তের দাবি উঠেছে।