পুজো আসতে বাকি আর মাত্র ১০০ দিন, কী ভাবছে পুজো উদ্যোক্তরা?

পুজো আসতে বাকি আর মাত্র ১০০ দিন, কী ভাবছে পুজো উদ্যোক্তরা?

3e0c1e4502429bf79662518d1ea93651

কলকাতা:  পুজো আসতে আর মাত্র ১০০ দিন বাকি৷ কিন্তু ফি বছরের সেই চেন ছবি কোথাও যেন উধাও হয়ে গিয়েছে৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামল দেওয়া গেলেও, চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা৷ এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে তাই গত বছরের বিধি নিষেধকে সামনে রেখেই পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন উদ্যোক্তারা৷ করোনা আবহে কম জৌলুসেই হবে মাতৃ আরাধনা৷ 

আরও পড়ুন- সারদা মামলা: সুদীপ্ত সেনের বয়ান দেখিয়ে শুভেন্দুর গ্রেফতারি চাইলেন কুণাল

পুজোর বাকি আর মাত্র ১০০ দিন৷ ফি বছর এই সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর কাউন্টডাউন৷ কলকাতার বড় বড় প্রায় সব পুজো কমিটিগুলিই কোমর বেঁধে নেমে পড়ে৷ কাজ শুরু হয়ে যায় জোড় কদমে৷ পুজো প্যান্ডেলের বাঁশ না পড়লেও শুরু হয়ে যায় পরিকল্পনা৷ কিন্তু এ বছর চেনা ছবিতে ভাটার টান৷ তবে এখন কোন কাজে ব্যস্ত পুজো কমিটিগুলি?

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুজো উদ্যোক্তা কমিটিগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পরেই পরিচিত পুজো কমিটিগুলিতে কোথাও তৈরি হয়েছে অক্সিজেন পার্লার৷ কোথাও আবার গড়ে উঠেছে সেফ হোম৷ একাধিক ক্লাবের সাহায্য পৌঁছে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায়৷ তাই পুজোর জাঁকজমক নয়, তাঁরা মগ্ন মানুষের চিন্তায়৷ তবে পুজোর উৎসবে কাঁটছাট হওয়ায় অন্ধকার কুমারটুলিতে৷ 

ফেস্টিভ্যাল ডিজাইনার ধ্রুবজ্যোতি বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছিলেন৷ পুজো কমিটিগুলি কলকাতাজুড়ে মানুষের পুজো শুরু করে দিয়েছে৷ শুধু পুজো করাই নয়, তাঁদেরও যে সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে, কী ভাবে এই পরিস্থিতিতে সমাজের পাশে দাঁড়ানো যায় সেই নিদর্শন পুজো কমিটিগুলি তৈরি করেছে৷  বহু উদ্যোক্তাই নিজেদের বাজেট কাঁটছাট করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয়েছে৷ 

এসবি পার্ক সার্হজনীন কমিটির উদ্যোক্তা সঞ্জয় মজুমদার বলেন, অনাড়ম্বর ভাবে ছোট করে পুজো হবে৷ নিয়ম রক্ষার্থেই পুজো হবে৷ আগমী বছর শান্ত পৃথীবিকে দেখব এটাই আশা৷ গত বছর করোনা আবহেই হয়েছিল দুর্গাপুজো৷ তবে বেশ কিছু বিধি নিধেষ আরোপ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ছোট করে পুজো ও ভার্চুয়ালি উদ্বোধনে জোড়৷ ভিড় এরাতে তৃতীয়া থেকেই ঠাকুর দেখার বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছিল৷ এছাড়াও প্যান্ডেল স্যানিটাইজারলও মাস্ক ছিল বাধ্যতামূলক৷ গত বছর করোনা আবহে বাতিল হয়ে গিয়েছিল কার্নিভালও৷  

আরও পড়ুন- ফেসবুক থেকে ‘বিদায়’ নিচ্ছেন মনোরঞ্জন! জল্পনা আরও বাড়ালেন নিজেই

এদিকে, এই বছরও পুরী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার উপরে বিধি নিষেধ জারি রয়েছে৷ নমো নমো করে হচ্ছে মহারাষ্ট্রের গণেশ পুজো৷ তাই করোনা বিধি ও গত বারের নির্দেশকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে কলকাতার দুর্গা পুজো কমিটিগুলি৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *