কলকাতা: মাদ্রাসায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের তৈরি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ এবার হাই কোর্টের কাঠগড়ায় উঠল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। উঠল অনিয়মের অভিযোগ৷ জরুরি ভিত্তিতে মামলায় অনুমতি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অনিয়মের অভিযোগ শুনে দ্রুত মামলা শুনতে চাইলেন খোদ বিচারপতি। আগামীকাল সকাল ১১ টায় মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন- বেতন বাড়ছে ৮ লক্ষ কর্মীর, অগাস্ট থেকেই কার্যকর
মাদ্রাসা সার্ভিসে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে গিয়েছেন শান্তিনাথ পাইন সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থী৷ অভিযোগ, ২০২১-এর জানুয়ারি পরীক্ষা হয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের। শরীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষা নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে অগাস্ট মাসে। কিন্তু সেই ফলে গড়মিল রয়েছে৷
প্রসঙ্গত, স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন স্কুল সার্ভিস কমিশন রয়েছে৷ তেমনই মাদ্রাসায় নিয়োগের জন্য বামফ্রন্ট সরকার ২০০৮- সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তৈরি করে। কিন্তু ২০০৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের ৬১৪টি মাদ্রাসাকে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দিয়েছিল। যার জেরে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন চালুর পরে অভিযোগ ওঠে, সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করছে৷
আরও পড়ুন- উৎসশ্রী পোর্টালে বাড়ছে উৎসাহ, সহজ হচ্ছে বদলির শর্ত
এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কাঁথির একটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট ওই আইনকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয়। বলা হয় সংবিধান অনুযায়ী মাদ্রাসার যাবতীয় ক্ষমতা মাদ্রাসার হাতেই থাকবে৷ পরে তৃণমূল সরকার স্বজন পোষণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এবং রাজ্য সরকারের তৈরি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে স্বীকৃতি দেয়৷