কলকাতা: স্নাতকোত্তর স্তরে বেতন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর ২৩ বছরের লড়াইকে স্বীকৃতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ আবেদনকারী রঞ্জিত কুমার দাসের দাবি মেনে তাঁকে ১৯৯৭ সাল থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের বেতন হার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ কিন্তু সরকারের তরফে বলা হয়, শুধুমাত্র পদোন্নতি করা হবে৷ ১৯৯৭ সাল থেকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়৷ কিন্তু এদিন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী জানান, গত ২৩ বছরের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধাই দিতে হবে রঞ্জিত কুমারকে৷
আরও পড়ুন- ‘আপনি আমাকে শক্তি জোগান, ভরসা পেলাম’, মমতার চিঠির উত্তরে অমর্ত্য
স্নাতকোত্তর স্তরে বেতন হার চেয়ে ২০০৯ সালে প্রথম এই সংক্রান্ত প্রথম মামলাটি হয়েছিল৷ ২০১০ সালের ৫মার্চ আদালত তার রায়ে জানায়, ১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে মামলাকারীর জন্য উচ্চতর বেতন হার মঞ্জুর করতে হবে৷ কিন্তু সেই রায় মানা হয়নি৷ ফলে দায়ের হয় আদালত অবমাননার মামলা৷ এর পর জেলা স্কুল পরিদর্শক আদালতের নির্দেশ মেনে ২০১১ সালের জুলাই মাসে নির্দেশিকা জারি করা হয়৷
আরও পড়ুন- সৌরভ আসবে শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না , বললেন অমিত শাহ, বিঁধল তৃণমূল
২০১০ সালের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায় কালীতলা এলকে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল৷ ২০১৯ সালে সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়৷ ২০১১ সালের রায় সংশোধন করে চলতি বছর গত ১৩ জুলাই জেলা স্কুল পরিবর্শক আদালত রঞ্জিতবাবুকে জানায়, ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁর উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বীকৃত হলেও ওই দিন থেকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়৷ রঞ্জিতবাবুর আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, কোনও ভাবেই জেলা স্কুল পরিদর্শক আদালত আগের রায় বদলে নতুন রায় দিতে পারে না৷ ২০১১ সালের নির্দেশ অনযায়ী ১৯৯৭ সাল থেকেই এই প্রাপ্ত রঞ্জিতবাবুর৷ ছয় সপ্তাহের মধ্যেই তা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তা মেটানো হয়নি৷ আদালতলের রায়কে চ্যালেঞ্জও করা হয়নি৷ ফলে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই মামলাকারীকে তাঁর প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে হবে৷