কলকাতা: ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের কথা স্বীকার করে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে একটি রিপোর্ট দিয়ে তারা জানিয়েছে, ২০১০ সালে উর্দু বিষয়ে মোট পাঁচটি প্রশ্ন ভুল ছিল। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, পর্ষদ প্রশ্ন ভুলের কথা স্বীকার করে নিয়েছে৷ মামলাকারীরা যদি ওই পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন, তাহলে ভুল প্রশ্নের নিরিখে তাঁদের অতিরিক্ত পাঁচ নম্বর দিতে হবে। সেই সঙ্গে দেখতে হবে বাড়তি পাঁচ নম্বর পাওয়ার পর তারা টেট উত্তীর্ণ হচ্ছেন কি না। যদি তারা টেট উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হন, তাহলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের চাকরির ব্যাবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন- আবেদনে সাড়া দিল না হাইকোর্ট, দিল্লি যাত্রা নিয়ে অস্বস্তি অনুব্রতর
এদিন মামলার শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘পর্ষদের ভুলের জন্য নির্দোষ প্রার্থীরা ভুক্তভোগী হতে পারেন না। চার বছর ধরে তাঁরা ভুক্তভোগী হচ্ছেন। আর নয়।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘‘এই ভুলের পরিণান তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি (মানিক ভট্টাচার্য) সহ বাকিদের ভুগতে হবে। আগামী শুনানির দিন এই নিয়ে আমি নির্দেশ দেব।’ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
মোট ১০ জন মামলাকারীর দাবি ছিল ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। যা নিয়ে পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রিপোর্ট জমাও পড়ে। সেখানে পর্ষদের তরফে জানানো হয়, পাঁচটি প্রশ্ন ভুল ছিল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>