নন্দীগ্রাম: একুশের ভোটে নিঃসন্দেহে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম৷ এই কেন্দ্রে সম্মুখ সমরে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী৷ শুধু বাংলা নয়, এই কেন্দ্রের দিকে নজর গোটা দেশের৷ মমতা না শুভেন্দু? এই প্রশ্নে তোলপাড়া রাজনৈতিক মহল৷ এদিকে রাত পোহালেই শুরু হবে গণনা৷ তার আগে তুঙ্গে উত্তেজনার পারদ৷ মিলছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর৷ উত্তেজনা ছড়াল নন্দীগ্রামেও৷ এদিকে নন্দীগ্রাম নিয়ে আগাম সতর্ক কমিশন৷ ভোট গণনার আগেই এই কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ১০০ জওয়ান৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলে ‘খুচরো’ দুর্নীতি হলে, বিজেপি’তে হয় ‘হোলসেল’, তোপ ডেরেকের
একুশের বিধানসভায় শিরোনাম কেড়ে নেওয়া নন্দীগ্রাম থেকে উঠে এল অশান্তির খবর৷ নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের রেওয়াপাড়া গিরি মোড়ের কাছে পোড়ানো হল তৃণমূলের পতাকা৷ ছিঁড়ে ফেলা হল ফেস্টুন৷ উল্লেখ্য, এখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেয়াপাড়ার অস্থায়ী বাড়ির ঠিকানা একবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে৷ ভোটের ফল ঘোষণার ঠিক আগে সেখানে পুড়িয়ে দেওয়া হল একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা, ফেস্টুন৷ এই ঘটনায় বিজেপি’র দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসক দল৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷ লোকাল থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে তৃণমূল৷
স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ তৃণমূলের৷ তাদের দাবি, যারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে৷ পুলিশের কাছে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করা হয়েছে৷ যদিও তৃণমূলের এই দাবি অস্বীকার করেছে বিজেপি৷ গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই এই ধরনের কাজ করছে তৃণমূল৷ স্থানীয় বিজেপি নেতার কথায়, পতাকা ছেঁড়া বা বাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর করা বিজেপি’র সংস্কৃতি নয়৷ নিজেরাই এই কাজ করে বিজেপি’র উপর দায় চাপাতে চাইছে৷
আরও পড়ুন- রাজভবনে মিঠুন! রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে বাড়ছে জল্পনা
জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামকে স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর জোনে ভাগ করা হয়েছে৷ থাকছে পুলিশ পিকেটিং৷ মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস রুখতে গণনার আগেই নন্দীগ্রামে পৌঁছে যাবে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।