‘শ্রাবন্তীর কথা বলতেই মুখ থেকে লালা ঝরছিল কৈলাশের’, ফের বিস্ফোরক তথাগত

‘শ্রাবন্তীর কথা বলতেই মুখ থেকে লালা ঝরছিল কৈলাশের’, ফের বিস্ফোরক তথাগত

কলকাতা:  ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক ভাবে তিনি ছিলেন নিশ্চুপ। বৃহস্পতিবার সকালে অবশেষে সেই নীরবতা ভাঙলেন৷ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বিজেপি’র সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়৷ আর তার পরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে আক্রমণ শানালেন তথাগত রায়৷ একহাত নিলেন শ্রাবন্তী ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে৷ 

আরও পড়ুন- Breaking: পুজোর শোভাযাত্রা হবে? সিদ্ধান্ত রাজ্যের উপরেই বর্তাল হাইকোর্ট

প্রসঙ্গত, এর আগেও তথাগতর নিশানায় এসেছেন শ্রাবন্তী ও কৈলাশ৷ এদিন দল ছাড়তেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ান তিনি৷ টুইট করে তথাগত রায় লেখেন, ‘আমাদের এক পুরোনো কর্মী দিনদুয়েক আগে লিখেছিলেন, উনি জয়নগরে সভা পরিচালনা করছিলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় শ্রাবন্তী সম্বন্ধে বলছিলেন, ওর মুখ দিয়ে প্রায় লালা ঝরছিল। এই সব নেতার হাতে বিজেপির প্রার্থী চয়নের ভার ছিল। এর পরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যে এই অবস্থা হবে এ আর বিচিত্র কি?’ 

উল্লেখ্য,  বিধানসভা ভোটের আগে ১ মার্চ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁকে বেহালা পশ্চিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে প্রার্থী করে দল৷ কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হন তিনি৷ আজ দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে শ্রাবন্তী টুইটে লেখেন, ‘বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। কারণ রাজ্যের উন্নয়নে স্বার্থে কাজ করার কোনও উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না বিজেপি’তে৷’

এদিকে বিজেপিতে থাকাকালীনও তথাগতের নিশানায় এসেছেন শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তী সহ বিজেপিতে যোগ দেওয়া তারকাদের ‘নগরের নটি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি৷ টুইট করে লিখেছিলেন, ‘‘পায়েল, শ্রাবন্তী, পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন)৷ তাঁদের টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?’’ 
  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 11 =