‘রাজনীতিতে থাকতে গেলে ধৈর্য্য রাখাটা জরুরি’, বাবুল প্রসঙ্গে মত তথাগতর

‘রাজনীতিতে থাকতে গেলে ধৈর্য্য রাখাটা জরুরি’, বাবুল প্রসঙ্গে মত তথাগতর

কলকাতা: আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি৷ তাঁর এই সিদ্ধান্তে এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া৷ বাবুলের ইস্তফাকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ আবার অনেকে বলছেন তাঁর অবসরে রাজনীতির ক্ষতি হয়ে গেল৷ মন্ত্রিত্ব খুইয়েই বাবুল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও অনেকের অভিমত৷ বিজেপি সাংসদের এই সিদ্ধান্তে এবার মুখ খুললেন বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়৷ টুইট করে জানালেন, বাবুলের এই সিদ্ধান্তে তাঁর ব্যথিত হওয়ার কথা৷ 

আরও পড়ুন- শুভেন্দুর খাসতালুকে চাল চুরি কাণ্ডে শ্রীঘরে বিজেপি নেতা

রবিবার সকালে টুইট করে বিজেপি নেতা তথাগত রায় জানান, বাবুলের সিদ্ধান্তে তিনি ব্যথিত৷ ওঁকে অনেক বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন৷ কিন্তু তিনি ব্যর্থ৷ তাঁর এই টুইট থেকেই স্পষ্ট যে, বাবুল যে এরকমই একটি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন তিনি৷ তাই তাঁকে বোঝানোর চেষ্টাও করেছিলেন৷ এদিন টুইটারে তথাগতবাবু লিখেছেন, “বাবুল সুপ্রিয়র বিদায়ে ব্যথিত। আমাদের মধ্যে একটা প্রজন্মের তফাৎ হলেও আমি ওঁকে বন্ধু হিসাবেই দেখতাম।  এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য ওঁকে বোঝাবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমি ব্যর্থ৷ রাজনীতিতে থাকতে হলে ধৈর্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ আশা করি বাবুল যা করেছে ভেবে চিন্তেই করেছে।” 

বাবুলের রাজনৈতিক সন্ন্যাসে একই ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ বাবুসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মধুর না হলেও জিতেন্দ্র বলেন, “উনি আসানসোলের সাংসদ। আমরা চাই উনি দলেই থাকুন৷ সংসদ পদে থাকুন। ওঁর কাছ থেকে আসানসোলবাসী আরও অনেক কিছু পাবেন। উনি চলে গেলে আসানসোলের ক্ষতি ও দলেরও ক্ষতি।”

আরও পড়ুন- জলের তলায় তৈলখনি, মাথায় হাত ONGC কর্তাদের

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে পরিমাণ ভোট পেয়েছিলেন বাবুল ২০১৯ এ তার দ্বিগুণ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি৷ দ্বিতীয়বার মন্ত্রীও হন৷ কিন্তু মোদীর মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক রদবদলে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয় তাঁকে৷ এর পর থেকেই বিস্ফোরক বাবুল৷ বারবার ফেসবুক পোস্টে বোমা ফাটাতে থাকেন আসানসোলের সাংসদ৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *