মমতাকে গণতান্ত্রিক পথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব, সৌজন্য ছেড়ে সংঘাতের পথে শুভেন্দু

মমতাকে গণতান্ত্রিক পথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব, সৌজন্য ছেড়ে সংঘাতের পথে শুভেন্দু

কলকাতা: বিধানসভায় ব্যতিক্রমী চা সৌজন্যের ঠিক পরের দিনই ফের সংঘাতের ছবি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ ঠাকুরনগরে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি নন্দীগ্রামে হারিয়েছি৷ তাঁকে গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব৷ আমি সংসদীয় ব্যবস্থার প্রোকলও জানি, বিরোধিতাও জানি৷ ওনারা জানেন না৷’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘ওরা সংসদীয় রীতি জানেন না বলেই দু’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে বলেছেন, টাকা আটকানোর জন্য বিরোধী দলনেতা চিঠি পাঠান৷ তাঁর নাম মুখে আনতে ঘৃণা হয়৷ নিজের ফেলা থুতু চেটে কালকে বলেছেন স্নেহের ভাই৷’’  তাঁর কথায়, আত্মসমর্পণ করেছেন মমতা৷

আরও পড়ুন- ডিএ নিয়ে অবহেলা হচ্ছে এমন নয়! বার্তা দিলেন চন্দ্রিমা

শুক্রবার বিধানসভায় চা সৌজন্যের যে ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল শনিবারের বারবেলায় ধরা পড়ল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি৷ ফের আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌজন্যের নজির গড়ে সেই আমন্ত্রণে সাড়াও দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই বাড়ল ঝাঁঝ৷ 

এদিন সিএএ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কী বার্তা দেন সে দিকেই তাকিয়ে ছিল ওয়াকিবহাল মহল। একান্তে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠকও সারেন বিরোধী দলনেতা৷ সেই বৈঠক থেকে বেরিয়েই মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক৷  

বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী৷এর অনেকদিন আগে থেকেই অবশ্য দলনত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর৷ দলবদলের পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে মমতাকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা৷ পাল্টা নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন মমতাও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে কেউ কারও মুখও দেখতে চাইতেন না৷ এরই মধ্যে শুক্রবার বিধানসভায় দেখা গিয়েছিল সৌজন্যের রাজনীতি৷ বিরোধী দলনেতাকে চায়ের আমন্ত্রণ জানানোর পর তাঁকে ‘ভাই’ বলেও সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ঘরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন শুভেন্দুও। যা নিয়ে শুভেন্দুকে একহাত নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ এ দিন অবশ্য সে সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিরোধী দলনেতা৷ 

বিধানসভায় সৌজন্য সাক্ষাতের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল, এবার কি মমতা ও শুভেন্দুর মধ্যে তিক্ততা একটু কমবে? শনিবার সেই সম্ভাবনা উড়িয়েই বনগাঁর ঠাকুরবাড়ির সভা শেষে মমতাকে ফের নিশানা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক৷ দিলেন গণতান্ত্রিক ভাবে মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার হুমকি৷