কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কি আদতে ডিএ পাবেন? এই প্রশ্নের আপাতত কোনও উত্তর মিলছে না। এদিকে লাগাতার আন্দোলন হয়ে যাছে। কিন্তু সাংবাদিকদের সামনে তথ্য তুলে ধরে বড় ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানান, সরকারি কর্মীদের পাশেই আছে সরকার। এমন নয় যে, বিষয়টি নিয়ে তারা ভাবছেন না। তবে এমন বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে যে কিছু হবে না।
আরও পড়ুন- যৌথবাহিনীর অভিযানে নিকেশ হল ৩ মাওবাদী, চলছে বাকিদের খোঁজ
চন্দ্রিমা জানান, ”ডিএ নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে এমন নয়। তবে একটা গেল গেল রব তৈরি করা হচ্ছে। ডিএ দেওয়ার বিষয়ে সংবেদনশীল, কিন্তু কেউ বলছেন না যে কেন্দ্র অর্থনৈতিক অবরোধ করছে। একটু তো কনসিডার করুন।” এই মন্তব্য করার পাশাপাশি তিনি এও জানান, ২০০৮ থেকে ২০১১ সালে ৩৫ শতাংশ ডিএ ছিল। সে সময় খরচ হয়েছিল ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। তবে ২০১১ থেকে ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী সেটা বাড়িয়ে করে দিয়েছিলেন ৯০ শতাংশ। এই সময়ে পঞ্চম পে কমিশনের সুপারিশ মেনে নেওয়া হয়েছে। ডিএ ও বেসিক একসঙ্গে করে ১২৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে।
বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করার সময় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছিলেন মানস ভুইঁয়াও। দুজনের নিশানা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে। তারা স্পষ্ট করেন, ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার আইনত যা করার তাই করবে। কিন্তু কেন্দ্রকে নিজের কাজ করতে হবে। চন্দ্রিমার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যথেষ্ট সংবেদনশীল। তবে যাঁরা, আন্দোলন করছেন, তাঁদের হক আছে।