কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট নিয়ে বিতর্কের ঝড়৷ এই রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ অন্যদিকে এই রিপোর্টকে স্বাগত জানালেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর কথায়, এই রিপোর্ট হিমশৈলের চূড়া মাত্র৷ জাতীয় মানবাধিক কমিশনের রিপোর্ট সারা দেশের লজ্জা৷
আরও পড়ুন- ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে কাদের যোগ, খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন বলে কিছু নেই৷ আছে শাসকের আইন৷ রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন তুলে রাজ্যকে ছত্রে ছত্রে আক্রমণ করা হয়েছে৷ শুক্রবার এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ৩ হাজার পাতার রিপোর্ট নিয়ে শুধু বাংলা নয় গোটা ভারতে চর্চা শুরু হয়েছে৷ এই রিপোর্টকে স্বাগত জানাই৷ কিন্তু রিপোর্টে যা বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে তার চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি৷ আজও রাজ্যের একাধিক জায়গায় হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা৷ বোলপুরে একটি পরিবারের কাছ থেকে মিড ডে মিল কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ এই ধরনের অমানবিক ঘটনা নিরসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চায় না৷
তিনি বলেন, সাড়ে ৬ হাজার অভিযোগ ও আড়াই হাজার এফআইআর দায়ের হয়েছে৷ এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে ২ হাজার অভিযোগের ভিত্তিতে৷ অল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ টিমের পক্ষে সব কটি অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি৷ সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখলে যে রিপোর্ট আসবে তা ব্রিটিশ জমানার অত্যাচারকেও অতিক্রম করে গিয়েছে বলে প্রমাণিত হবে৷
আরও পড়ুন- চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা, সাঁকরাইল থেকে গ্রেফতার সেনাকর্মী
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছিল, অভিযোগগুলিকে এফআইআর-এ পরিণত করতে হবে৷ ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তা হয়নি৷ হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও ঘরছাড়া বিজোপি কর্মীরা রেশন পাননি৷ তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়নি৷ শুভেন্দু আরও বলেন, মূল রিপোর্টের সঙ্গে সংযোজিত রিপোর্টে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের নাম রয়েছে৷ নাম রয়েছে ৪-৫ জন পুলিশ কর্তার৷ এই সংখ্যাটা আরও বেশি৷ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷
শুভেন্দু জানান, ভোট পরবর্তী হিংসার কোনও অভিযোগ পুলিশের ওয়েবসাইটে রাখা হয়নি৷ ডিজিপি যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে মাত্র ৩ শতাংশ গ্রেফতার হয়েছে৷ পুলিশ আইন মেনে কাজ করছে না৷