বিচারাধীন মামলায় সমন কেন? ফাঁপড়ে CID! হাই কোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

বিচারাধীন মামলায় সমন কেন? ফাঁপড়ে CID! হাই কোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

28ae7f9f73a5cb2c23d6b17fb47e288f

 

কলকাতা: প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যু মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে ভবানী ভবনে তলব করেছিল সিআইডি৷ কিন্তু কারণ দর্শিয়ে হাজিরা না দেওয়ার কথা ইমেল মারফত জানিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা৷ ওদিক রক্ষাকবজ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷ বিচারাধীন মামলায় কেন তলব, আদালতে সেই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দুর আইনজীবী৷ এই মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু৷ কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে রক্ষাকবচ পেয়ে গেলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- সরকারি হাসপাতালে রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন! গ্রহ্যই করল না কর্তৃপক্ষ

সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী পরমজিৎ সিং পাটোয়ালিয়া বলেন,  শুভব্রত গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন৷ এই মামলাটি এখন বিচারাধীন রয়েছে৷ বিচারাধীন মামলায় কী ভাবে তাঁর মক্কেলকে তলব করা হল? এই মামলায় শুভেন্দুকে অন্তর্বর্তী রক্ষা কবচ দেওয়া হোক৷ এর পরেই বিচারপতি মান্থ মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেন, দুপুর ২টো পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না শুভেন্দু অধিকারীকে৷  সেই সঙ্গে বিচারপতি আরও জানান, এখনই সিআইডি’র সমনে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷ 

আজ দুপুরে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে। কখনইই বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ রাখবেন বিচারপতি৷ এদিকে সিআইডি-র এই পদক্ষেপে বাকি চারটি মামলাতেও আইনি সুবিধা পেয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৫ টি এফআইআর হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী৷ তাঁর স্ত্রী সূপর্ণা বলেন, ৬-৭ বছর শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁর স্বামী৷ কী ভাবে তিনি আচমকা গুলিবিদ্ধ হলেন? কেনই বা তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসতে এত দেরি করা হল? এফআইআর-এ একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন সূপর্ণা৷ কিন্তু কেন তিনি আড়াই বছর মুখ বুজে রইলেন? জবাবে সূপর্ণা জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র আতঙ্কে মুখ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি৷ তিনি এটাও মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি হয়তো সুবিচার পাবেন৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *