রেয়াপাড়া: দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারের জন্য ফের একবার বাংলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে রোড শো করেছেন তিনি এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তিনি আশাবাদী যে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ব্যাপক ব্যবধানে বিধানসভা নির্বাচনে জিতবে। রোড শো থেকে শুরু করে জনসভায় যেভাবে মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করছেন তাতে এই ব্যাপারটা পরিষ্কার বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের বিজেপির কার্যকর্তা থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। প্রত্যেক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন যে বাংলায় পরিবর্তন দরকার এবং সেই পরিবর্তন আরো সহজ হবে যদি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর পুরো বাংলায় এমনিতেই পরিবর্তন হয়ে যাবে। এদিকে নারী সুরক্ষা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, নন্দীগ্রামে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছেন তার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে একজন মহিলার ধর্ষণ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে বিজেপি কার্যকর্তাদের বৃদ্ধা মাকে পিটিয়ে মারা হল, যার গতকাল মৃত্যু হয়েছে। মহিলা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারী সুরক্ষার কথা বলছেন কিন্তু তাঁর রাজ্যের মহিলাদের এমন অবস্থা। তাহলে তিনি কী করে রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলতে পারেন সেই প্রশ্ন তোলেন শাহ।
আরও পড়ুন- ফের মমতার গাড়ি ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান! শেষ প্রচারে তপ্ত নন্দীগ্রাম
একই সঙ্গে তিনি বলেন, নন্দীগ্রামবাসীকে শুধু শুভেন্দু অধিকারীকে জেতাতেই হবে না, এত বড় ব্যবধানে জেতাতে হবে যে পরবর্তী ক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টি যেন কোন রকম প্রতিশ্রুতি থেকে মুখ ফেরাতে না পারে। মা-মাটি-মানুষের যে চরম অপমান এই সরকার করেছে তা পরবর্তীকালে পরিবর্তন হওয়া দরকার। আর গোটা বাংলা যেভাবে পরিবর্তন চাইছে, নন্দীগ্রাম একইভাবে পরিবর্তন চাইছে তা তিনি পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলছেন, বাংলা অনুপ্রবেশকারী চায় না, সিএএ-র মাধ্যমিক শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এবং বাংলার ছেলেমেয়েদের চাকরি হবে, বাংলার বিকাশের এবং সংস্কৃতির আলোচনা গোটা দেশ থেকে বিশ্ব স্তরে হবে। অমিত শাহের দাবি, এই সবকিছু সম্ভব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসলেই।