উঠল ‘ভয় পেয়েছেন মমতা, জেনে গেছে জনতা’ স্লোগান, ‘লেডি কিম’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

উঠল ‘ভয় পেয়েছেন মমতা, জেনে গেছে জনতা’ স্লোগান, ‘লেডি কিম’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে শহর কলকাতায়। তবে সঠিকভাবে অভিযানের মিছিল শুরু হওয়ার আগেই আটক হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ নেতা রাহুল সিনহা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু আটক হলেও সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঝাঁঝাল আক্রমণের তেজ এতটুকু কমাননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘লেডি কিম’ বলে কটাক্ষ করেছেন। একই সঙ্গে বিজেপি রাজ্যকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তুলনা টানতেও ছাড়েনি।

আরও পড়ুন- বিজেপি’র নবান্ন অভিযানের বিরোধিতায় এবার মামলা দায়ের হাই কোর্টে

এদিন সাঁতরাগাছি যাওয়ার পথে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আটকানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে৷ আলিপুর পুলিশ লাইনের সামনে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে৷ পরে তাঁকে আটক করে পুলিশ। তবে এর বিরোধিতা করে শুভেন্দু বলেন, বিরোধী দলনেতা এবং সংসদের একজন সদস্যকে এভাবে আটকানো যায় না৷ বাংলাকে দক্ষিণ কোরিয়া বানিয়েছে লেডি কিম! সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা স্লোগান তোলেন,  ‘ভয় পেয়েছেন মমতা, জেনে গেছে জনতা৷’ এর পরেই শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিন্‌‌হাকে আটক করে পুলিশ। গোটা বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেন শুভেন্দু।

অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধেও বড় অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দাবি করেন, মহিলা পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ দিয়ে তাদের এভাবে হেনস্থা করাচ্ছেন। জ্ঞানবন্ত সিংকেও নিশানা করেন তিনি। তবে অবশেষে পুরুষ পুলিশ এসে তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 17 =

‘মিথ্যে কথা বলাটা কমান’, ভিভিপ্যাট গণনা নিয়ে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

‘মিথ্যে কথা বলাটা কমান’, ভিভিপ্যাট গণনা নিয়ে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

কলকাতা: ভবানীপুরে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু নন্দীগ্রামের ক্ষততে বারবার আঘাত হানার কৌশল নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ সোমবারও নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিলেন তিনি৷ বিধানসভা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একটু কম মিথ্যে কথা বলে বন্যাত্রাণে মন দিন৷ 

আরও পড়ুন- নিজের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিধায়ক বললেন, দিদির উন্নয়নই ভরসা

ভবানীপুর থেকে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির ফাঁড়া কাটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু আক্রমণের ঝাঁঝ কমাতে নারাজ বিরোধী দলনেতা৷ এদিন ত্রিপলকাণ্ডের তদন্তে আদালত স্থগিতাদেশ জারি করার পরেই শুভেন্দু বলেন, ‘বারেবারে কানমলা খাচ্ছে। আবারও কানমলা খাবে। কখনও ২ গালে থাপ্পড় খাচ্ছে। কখনও একগালে থাপ্পড় খাচ্ছে। আর সব থেকে বড় কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন রাজনীতিতে থাকবে কানের কাছে বাজবে, শুভেন্দুর কাছে হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি।’  

এখানেই খান্ত হননি শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, ভবানীপুরে মনোনয়নপত্র পেশের সময় কোনও নথি জমা দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কানে শোনা কথা লিখেছেন তিনি। কিন্তু আমার কাছে ওঁর সমস্ত নথি আছে। আমি আপনাদের সেটা দেখিয়ে দেব।’’ সেই সঙ্গে ভবানীপুরে ভিভিপ্যাট গণনা হয়নি বলে যে দাবি উঠেছে, তা খারিজ করে দেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন, ‘সবটাই মিথ্যে কথা৷ ৫টা বুথে ভিভিপ্যাট গণনা হয়েছে। ওঁর এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের সইও সেখানে রয়েছে।’ 

তোপ দেগে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘মিথ্যে কথা বলাটা একটু কমান৷ মিথ্যে কথা না বলে বরং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান। বেকারত্ব কী হবে দূর হবে, সরকারি কর্মচারীরা ডিএ  কী ভাবে পাবেন, ৫০ লক্ষ বানভাসি মানুষের ঘর কীভাবে পুনর্নির্মাণ করা হবে, সেই কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিন।’
 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + six =

সবাই হাতজোড় করে ভোট চায়, উনি পা দেখাচ্ছেন! নাটক তত্ত্বে শান শুভেন্দুর

সবাই হাতজোড় করে ভোট চায়, উনি পা দেখাচ্ছেন! নাটক তত্ত্বে শান শুভেন্দুর

নন্দীগ্রাম: এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম, তাতে কোন সন্দেহ নেই। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি রয়েছেন বামফ্রন্টের তরুণ তুর্কি মীনাক্ষী। সব মিলিয়ে ভোটের উত্তাপ যে সবচেয়ে বেশি নন্দীগ্রামে তা বলাই বাহুল্য। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনাও এই নন্দীগ্রামে ঘটেছে। তাই এই বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মানুষের কৌতূহলের কোনরকম শেষ নেই। তবে সেই আহত হওয়ার ঘটনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই কাজে লাগানোর চেষ্টায় শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাটক করছেন আহত হওয়ার ঘটনায়। শুভেন্দু অধিকারীও সেই তত্ত্বে শান দিয়ে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাটক করে পা দেখিয়ে ভোট চাইছেন!

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, গোটা বাংলা জুড়ে সমস্ত প্রার্থীরা হাতজোড় করে ভোট চাইছেন জনগণের কাছ থেকে। আর এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নাটক করছেন আর পা দেখিয়ে ভোট চাইছেন। ‌ শুভেন্দু দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়ে তিনি নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করেছেন কারণ, ঘটনার দিন তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন যে এখানের কেউ তাঁকে ধাক্কা মেরেছে। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট নিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, নন্দীগ্রামের যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনরকম ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত ছিল না। নেহাত দুর্ঘটনা ছিল। এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। 

আরও পড়ুন-  টিকিটের খোঁজে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে ‘বঞ্চিত’ হলেন যারা!

এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর আরও বক্তব্য, নন্দীগ্রামে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ছাড়বেন। মনে রাখতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নন, এর আগে সিপিএমের মালিনী ভট্টাচার্যের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি। আর এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তিনি হারবেন। প্রসঙ্গত, ভোট কারচুপি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ পর্যন্ত পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁকে রিগিং কুইন বলে আক্রমণ করেছেন। একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর কাছে বড় প্রার্থী নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =

‘ভুল করে, মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছিল!’ নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়া নিয়ে মমতাকে খোঁচা

‘ভুল করে, মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছিল!’ নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়া নিয়ে মমতাকে খোঁচা

নন্দীগ্রাম: বছরের শুরুতেই নন্দীগ্রামে ঐতিহাসিক জনসভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকেই সেখানকার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার জনসভায় উল্লেখ করেছেন যে তিনি যদি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন বা নাও হন, বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাফ লক্ষ ভোটে হারবে। তবে দুই দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামের সম্মুখ সমরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীই। সম্প্রতি আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন বাতিল করার দাবি তুলেছিলেন শুভেন্দু। সেদিন আবার নন্দীগ্রামে কর্মীসভায় অংশগ্রহণ করে তিনি বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো ভুল করে, মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিলাম যে তিনি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হবেন।

এদিন নন্দীগ্রামে এক নম্বর ব্লকে বুথ ভিত্তিক নির্বাচনী কর্মীসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়তো ভুল করে, মুখ ফস্কে বলে দিয়েছিলেন যে তিনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। আর এখন প্যাঁচে পড়ে গিয়েছেন, সেই প্যাঁচ থেকে বেরোতে পারছেন না। শুভেন্দু আরও বলেন, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তিনি রাজনৈতিক দল বলেন না, প্রাইভেট কোম্পানি বলেন। সেই প্রাইভেট কোম্পানির মালিক হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সিঙ্গুর না হলে নাকি নন্দীগ্রাম আন্দোলন হত না। এই মন্তব্য করে তিনি আদতে নন্দীগ্রামবাসীকে অপমান করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুর থেকে শিল্প তাড়িয়েছেন, তাঁকে এই ব্যাপারে কেউ সমর্থন করেনি। নন্দীগ্রামের মানুষও শিল্প চায়, কেমিক্যাল হাব চায় না। এদিন এমন দাবি করলেন নব্য বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থী। 

আরও পড়ুন- ‘বিজেপিকে ১০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতির আঙিনায় পা দেব না’: অভিষেক

এর পাশাপাশি রাজ্যের বেকারত্ব ইস্যু নিয়েও এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত ছেলেরা আজকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে, এ দিকে চাকরির কত পোস্ট অবলুপ্ত করেছে এই সরকার। এর পাশাপাশি সকলকে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার আহ্বান জানান শুভেন্দু অধিকারী। মন্তব্য করেন, মানুষ চাইলে বিজেপি জিতবে, মানুষ না চাইলে বিজেপি জিতবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এবং ভারত সরকার ব্যবস্থা করেছে যে এবার নির্বাচনে প্রত্যেকে নিজেদের ভোট নিজে দিতে পারবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − ten =