কলকাতা: বাবুল সুপ্রিয় এখন তৃণমূল নেতা। অনেকেরই এই তথ্য হজম হবে না। কিন্তু বাস্তব এটাই। গতকাল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন আসানসোলের সংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। সব থেকে বড় অস্বস্তিতে বিজেপি। এই ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনেকেই। তৃণমূল-বিজেপিকে কথায় কথায় তোপ দাগছে সিপিএম, কংগ্রেস। এই আবহে মুখ খুললেন রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মনে করছেন, বাবুল তৃণমূলে যাওয়ায় বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।
আরও পড়ুন- ধূমকেতুর মতো উত্থান, উল্কার বেগে ‘পতন’, রাজনৈতিক সন্ন্যাস কাটিয়ে এবার তৃণমূলে বাবুল
এই আকস্মিক দলবদল নিয়ে শুভেন্দু বলছেন, বাবুল খুব একটা জনপ্রিয় নেতা ছিলেন না, রাজনৈতিক সংগঠকও ছিলেন না। তাই তিনি চলে যাওয়ায় বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। যদিও তিনি মনে করেন যে, দল ছাড়ার আগে বাবুলের একবার জানান উচিত ছিল তাঁর সিদ্ধান্ত। তবে শুভেন্দু অধিকারী এটাও স্পষ্ট করে দেন যে বাবুল সুপ্রিয় তাঁর খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বাবুল৷ আর ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে৷ এই ফুল বদল নিয়ে বাবুল জানান, ‘‘মন থেকেই রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেছিলাম৷ এর মধ্যে কোনও নাটকীয়তা ছিল না৷ আজকের এই সিদ্ধান্ত কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়৷ এটা একটা সুযোগ৷ যা আমি মন থেকে গ্রহণ করেছি৷’’
আরও পড়ুন- বাবুল তৃণমূলে! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই এখন সত্যি
বাবুল আরও জানিয়েছেন, ‘‘রাজনীতি ছাড়ায় কথাটা মন থেকেই বলেছিলাম৷ আমার মনে হয়েছিল ৭ বছর যে কঠিন পরিশ্রম করেছি, রাজ্যের মানুষের জন্য যে কাজ করার চেষ্টা করেছি, সেখানে একটা দাড়ি পড়ে গিয়েছিল৷ এই দাড়ি কেন পড়েছিল আমার জানা নেই৷ এর পিছনে কোনও লজিকও পাইনি৷ শুধু বলতে পারি, গান থেকে দূরে গিয়ে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করায় যে প্রচেষ্টা, সেটা ধুলোয় মিশে গিয়েছিল”। প্রসঙ্গত, তাঁর এই সিদ্ধান্তের পর নিরাপত্তা কমিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অর্থাৎ জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন বাবুল। এবার থেকে তিনি পাবেন ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা।