কলকাতা: বিজেপি’র অন্দরে গ্রুপ ছাড়ার রাজনীতি বেশ পুরনো৷ এর আগেই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বহু বিক্ষুব্ধ নেতা৷ এবার বিজেপি’র সাংগঠনিক গ্রুপ থেকে লেফট করলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর পাশাপাশি গ্রুপত্যাগীর তালিকায় নাম লেখালেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা এবং নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সাহেব দাস। তবে ঠিক কী কারণে তাঁরা গ্রুপ ছাড়লেন তা জানা যায়নি৷
আরও পড়ুন- ‘জেলে না গেলে অনুব্রত খুন হতে পারেন’, বিস্ফোরক দাবি দিলীপের
উল্লেখ্য, গতকাল তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির তরফে মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। যেখানে দেখা যায়, ৪২ জনের নামের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে একাধিক পুরনো মণ্ডল সভাপতি৷ বদলে প্রাধান্য পেয়েছেন জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মণ্ডল সভাপতিরা৷ এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু সহ বাকি নেতাদের গ্রুপ ছাড়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
বিজেপি সূত্রে খবর, তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি হওয়ার পর থেকেই জেলা নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে৷ বাড়ছে দলীয় কোন্দল৷ বিধায়ক তাপসী মণ্ডল তো বটেই, আরও অনেকের সঙ্গেই চাপানউতোর চলছিল৷ রবিবার মণ্ডল সভাপতির তালিকা প্রকাশ হতেই সেই অশান্তি সামনে চলে আসে৷
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যা বলার স্টেট কমিটি বলবে৷ আমি কোনও মন্তব্য করব না৷’’ এদিকে গ্রুপ ছাড়ার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা সাহেব দাস৷ তাঁর কথায়, ‘‘এসব কোনও বিষয়ই নয়৷ রবিবার একটা দলীয় অনুষ্ঠান ছিল৷ সেখানে শুভেন্দুদাও এসেছিলেন৷ সেখানে আমার মোবাইলটা হারিয়ে যায়৷ নতুন ফোন কিনে অ্যাপ ডাউনলোড করার পর দেখি আমি গ্রুপে নেই৷ তাছাড়া গ্রুপ নিয়ে রাজনীতি হয় না৷ রাজনীতিটা ময়দানে হয়৷’’ তবে এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>