‘জেলে না গেলে অনুব্রত খুন হতে পারেন’, বিস্ফোরক দাবি দিলীপের

‘জেলে না গেলে অনুব্রত খুন হতে পারেন’, বিস্ফোরক দাবি দিলীপের

কলকাতা: দিন তিনেক আগেই এসএসকেএম থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ আর বাড়ি ফিরতেই তাঁর কাছে পৌঁছয় সিবিআই-এর নোটিশ৷ যদিও এবারও সমন এড়ান বীরভূমের এই দাপুটে নেতা৷ এই পরিস্থিতিতে অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বললেন, খুন করা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে! 
 

আরও পড়ুন- বাবুঘাট থেকে সরছে বাসস্ট্যান্ড, পরিবহণ দফতরের নির্দেশে জোর তরজা

দিলীপ ঘোষের দাবি, অনুব্রত এমন কিছু মামলার সঙ্গে জড়িত, যার সঙ্গে তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের নামও জড়িয়ে রয়েছে৷ তাই তথ্য লোপাট করতেই অনুব্রতকে মেরে ফেলা হতে পারে৷ সোমবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি৷ বিজেপি’র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির কথায়, অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষে জেলে থাকাটাই ভালো৷ তাহলে অন্তত প্রাণটা বাঁচবে৷ প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একই সুর শোনা গিয়েছিল বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের গলায়৷ বোমা ফাটিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হতে পারে৷’ এবার প্রায় একই কথা বললেন দিলীপ৷ 

প্রতিদিনের মতো এদিনও ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহসভাপতি৷ সেই সময়ই অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বোমা ফাটান তিনি৷ দিলীপ বলেন, ‘‘সিবিআই দেখলেই ওঁর শরীর খারাপ হয়ে যায়৷ তবে এভাবে তো আর বেশিদিন চালানো যাবে না৷ আজ হোক, কাল হোক যেতে তো হবেই৷’’ এর পরেই দিলীপের সংযোজন, ‘‘কিন্তু আমার সন্দেহ হচ্ছে ওঁকে সারা জীবনই হাসপাতালে থাকতে হবে৷ না হলে জেলে যেতে হবে৷ জেলে থাকলে ঠিক আছে৷ কিন্তু হাসপাতালে গেলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম৷ আমার মনে হচ্ছে, হাসপাতালে থাকলে যে ভাবেই হোক ওঁকে মেরে ফেলা হতে পারে৷’’ নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন দিলীপ৷ তাঁর কথায়, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই এমনটা করা হবে৷