কলকাতা: বিচারপতি কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নন্দীগ্রাম মামলা সরানোর আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস তথা খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে হয়েছেও তাই। মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে বিচারপতি কৌশিক চন্দ সরে যাওয়ার পর সেই মামলা চলে গিয়েছে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। তার শুনানিও হয়েছে আজ। এবার এই মামলা রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানালেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী! তিনি চান অন্য কোনও রাজ্যের হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হোক, নাহলে সঠিক বিচার হবে না বলে মনে করেন তিনি।
নন্দীগ্রাম ভোট গণনা মামলা দেশের অন্য যে কোনও হাই কোর্টে সরানোর আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর ধারণা, কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলার নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া যাবে না। সেই কারণেই তিনি অন্য যে কোনও রাজ্যে এই মামলা নিয়ে যেতে চাইছেন। এদিকে, আজ বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে শুরু হয় নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি৷ শুনানির প্রথম দিনেই নন্দীগ্রাম মামলায় বিরোধী দলনেতা নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিশ পাঠিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে যাবতীয় নির্বাচনী তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ অগাস্ট৷
আরও পড়ুন- সময়ে সময়ে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে বিনয় মিশ্রের কাছে! অনুমান করছে সিবিআই
এদিন বিচারপতি শম্পা সরকার বলেন, এই ইলেকশন পিটিশনে কোনও ত্রুটি নেই। এটা বৈধ৷ সেই মোতাবেক শুভেন্দু অধিকারীকেও নোটিশ করা হয়৷ সেই সঙ্গে বিচারপতি সমস্ত তথ্য, ভিডিও রেকর্ডিং, নির্বাচনের যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ সব জমা রাখতে হবে রিটার্নিং অফিসারকে জানাবে৷ প্রসঙ্গত, ২ মে ভোট গণনার দিন সকালে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ পরের দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে যান৷ শেষের দিকে লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি৷ এমনকী সংবাদ সংস্থা এএনআই ঘোষণা করে দিয়েছিল ১,২০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু নন্দীগ্রামে কে জয়ী হয়েছেন তা নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে মাঝরাতে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করা হয়৷ ১,৯৫৩ ভোটে তাঁকে জয়ী ঘোষণা করে কমিশন৷ এর পরেই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন মুখ্যমন্ত্রী৷