সময়ে সময়ে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে বিনয় মিশ্রের কাছে! অনুমান করছে সিবিআই

সময়ে সময়ে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে বিনয় মিশ্রের কাছে! অনুমান করছে সিবিআই

কলকাতা: গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখন পলাতক। গোয়েন্দা আধিকারিকদের অনুমান তিনি মেহুল চোকসির মতই অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন। যদিও তারা মনে করছে ভারত থেকে বিনয় মিশ্রের কাছে সময়ে সময়ে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে! অভিযুক্তের কমপক্ষে ৪৫ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেছে সিবিআই। তাতেই এই রকম অনুমান হয়েছে তাদের।

সিবিআই মনে করছে, বিভিন্ন শেল কোম্পানির মাধ্যমে বিশ্বের কাছে নিয়মিত টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে কিসের মারফত এবং কিভাবে তার কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ে তদন্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে গোয়েন্দারা। সিবিআই ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে যে বিনয় মিশ্র এবং তার পরিবারের ৪৫ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং বেশিরভাগ শেল কোম্পানির নামে। সেই অ্যাকাউন্ট মারফত বিনয়ের কাছে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে বলে অনুমান করছে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এই জন্যই আপাতত বিনয় মিশ্রের পারিবারিক সদস্যদের ওপর নজর রাখতে শুরু করেছে তারা। তবে আপাতত কিভাবে টাকা পাঠানো হচ্ছে তা কিছুটা হলেও জানতে পেরেছে সিবিআই বলে খবর। সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তবে আপাতত গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডের এই অভিযুক্ত বিনয়কে এদেশে ফেরাতে তৎপর সিবিআই।

আরও পড়ুন- ‘বেসুরো’ বাবুলের মানভঞ্জন! বিশেষ দায়িত্ব পেলেন আসানসোলের সাংসদ

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জানা গিয়েছিল যে, দেশে ফিরে সিবিআইকে সবরকম সহযোগিতা করতে চান কয়লা এবং গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। কিন্তু তার একটাই শর্ত, দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা যাবে! আইনজীবী মারফত এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। বিনয় মিশ্র দীর্ঘ দিন ধরেই পলাতক৷ তাঁর হদিশ পেতে খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অভিযোগ, এই যুব তৃণমূল নেতার হাত দিয়েই গরু ও কয়লা পাচারের টাকা পৌঁছে যেত প্রভাশালীদের হাতে৷ এই পাচারচক্রের মূল পাণ্ডা তিনি৷ সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে পালানোর পর ২০২০-র ২২ ডিসেম্বর দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেন বিনয় মিশ্র৷ দূতাবাস সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্রে লুকিয়ে রয়েছেন গরুপাচার কাণ্ডের এই পাণ্ডা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *