মুকুলকে অসুস্থ সাজিয়ে রাখা হয়েছে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

মুকুলকে অসুস্থ সাজিয়ে রাখা হয়েছে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

e69969cbe0f33bc6ac546444f3a2356d

কলকাতা: মুকুল রায়কে অসুস্থ সাজিয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের আশঙ্কাতেই এমন করছে তারা! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, এসব করে তাদের আটকানো যাবে না কারণ যারা যারা দল বদল করেছেন তারা কেউ ছাড় পাবেন না। বিজেপি এর শেষ দেখে ছাড়বে।

আরও পড়ুন- মাথার ঘায়ে কুকুরের পাগল হওয়ার অবস্থা! উপনির্বাচন নিয়ে কটাক্ক দিলীপের 

শুভেন্দু বলেন, বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে কিন্তু সেই কমিটির বৈঠকে মুকুল রায় থাকছেন না। মুকুল রায়কে অসুস্থ সাজিয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস যাতে এই বিতর্ক থেকে দূরে থাকা যায়, কিন্তু বিজেপি এটা চলতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শুভেন্দু এও বলেন, মুকুল রায় যেহেতু কমিটির বৈঠকে থাকছেন না তাই ওই কমিটির কাজ চালাচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। সেই প্রেক্ষিতেই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর ইস্যুতে আবারও সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুই জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধেও এই আইন কার্যকর করা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন বিজেপি নেতা। শুভেন্দু স্পষ্ট বলেছেন, বিধায়ক হবার পর যারা দলবদল করছেন তারা কেউ ছাড় পাবেন না। এর আগেও এই ইস্যুতে শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, পশ্চিমবাংলায় গত ১০ বছরে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি কিন্তু এবার বিজেপি সেটা করে দেখাবে। এবার মুকুল রায়কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে সেই ইস্যুকে আরো বেশি উত্তেজক করে তুললেন তিনি।

আরও পড়ুন- নথি ছাড়াই চাকরিতে বহাল শিক্ষক, মামলা হতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে 

প্রসঙ্গত গতকাল, দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফের একবার তৃণমূলে যোগ দেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তার আগে বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ দল ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেন। গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে নিজের হাতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন বিশ্বজিৎ। জানান, একটা ভুল বোঝাবুঝিতে পরিবর্তন হয়েছিল যেটা হওয়া উচিত ছিল না। কিন্তু এখন তিনি মানুষের উন্নয়ন এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য পুরনো দলে ফিরে এসেছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *