‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও ED-CBI যাবে’, বিস্ফোরক বঙ্গ বিজেপি সভাপতি

‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও ED-CBI যাবে’, বিস্ফোরক বঙ্গ বিজেপি সভাপতি

কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ থেকে গরু-কয়লাপাচার, একের পর এক দুর্নীতি মামলায় মুখ পুড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের৷ তৃণমূলের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ এই দলে ছিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা৷ স্মারকলিপি দেওয়ার পর রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সুকান্ত৷ তাঁর হুঙ্কার, “দুর্নীতিতে নাম জড়ালে সিবিআই যাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও।” 

আরও পড়ুন- স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর, লক্ষ্মীবালা ১০২! পালকি চড়ে পতাকা তুলতে এলেন ‘টট্টরে বুড়ি’

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছয় বিজেপির প্রতিনিধিদল। রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শাসক দলের একাধিক দুর্নীতি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। সেখান থেকে বেরিয়ে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রীকে৷ একহাত নেনে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাঁর কথায়, “একদল মানুষ রাজনীতিকে উপার্জনের কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছে। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। রাজনীতি কখনও উপার্জনের জায়গা হতে পারে না। মোদীজি বারবার সেটা প্রমাণ করেছেন।” 

প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, যারা যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাঁরা কেউ রেহাই পাবে না। অনুব্রতকে পুরো ঘটনার দায় নিতে হবে। সায়গল একজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। উনি কোনও রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না৷ এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক নেতার হাত না থাকলে এত বিপুল পরিমাণে লেনদেন হওয়া সম্ভব নয়৷ এর পরেই সুকান্ত বলেন, “যদি জানা যায়, এসবের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জড়িত, তাহলে ওঁর বাড়িতেও সিবিআই যাবে।”

এদিকে, সুকান্তকে পালটা দেনন তৃণমূলের জয়প্রকাশ মজুমদার। গেরুয়া দলকে বিঁধে তিনি বলেন, “বিজেপি এত কিছু জানতে পারছে কী করে? ওঁরা কি বোমকেশ বক্সী হয়েছে? সিবিআই নিজের কাজ করুক, আদালতে তথ্য দিক৷ মিডিয়ায় কাছে নয়।”