বিধাননগরে ‘যুদ্ধ’ পাকা? সম্মুখসমরে সুজিত-সব্যসাচী

বিধাননগরে ‘যুদ্ধ’ পাকা? সম্মুখসমরে সুজিত-সব্যসাচী

কলকাতা: একই দলে থাকাকালিন দুজনের সখ্যতা কোন দিন ছিল না এ সকলেরই জানা। বহুদিন আগেই সুজিত এবং সব্যসাচীর রাজনৈতিক পথ আলাদা হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন দুজনের সম্পর্ক মধুর না হলেও লড়াই হয়নি, যেটা সম্ভব ছিল না। কিন্তু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিধাননগর সুজিত সব্যসাচীর লড়াই দেখতে চলেছে! অন্তত সূত্রের খবর এমনটাই। জানা গিয়েছে, বিধাননগরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হতে চলেছেন সুজিত, অন্যদিকে বিজেপি দাঁড় করাতে পারে সব্যসাচীকে। তাহলে বিধাননগরের যুদ্ধের দামামা বেজে গেল?

আরও পড়ুন: ‘পয়া’ শুক্রবারে তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ! একই দিনে বিজেপিও

মূলত বিধাননগরের মেয়র পদ নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয় দুজনের। পরবর্তী ক্ষেত্রে যে যে ঘটনা ঘটেছে তা প্রত্যেক রাজ্যবাসীর স্মরণে রয়েছে। মুকুল রায়ের সব্যসাচীর বাড়িতে গিয়ে লুচি-আলুর দম খাওয়া থেকে শুরু করে, তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী কিছু মন্তব্য, বিতর্ক থেকে বাদ যাননি সব্যসাচী। অন্যদিকে সুজিতের সঙ্গে তার সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে একাধিকবার কপাল চাপড়াতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের নেতৃত্বকে। পরবর্তী সময়ে সব্যসাচীকে বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে সরানোর তোড়জোড় করে তৃণমূল। এর পরেই বিজেপিতে নাম লেখান তিনি। গেরুয়া শিবিরের সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় সব্যসাচী দাবি করেছিলেন যে তিনি বিধাননগরের প্রার্থী হতে চান। সেই প্রেক্ষিতেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাকে প্রার্থী করতে পারে পদ্ম বাহিনী। তবে এই গোটা বিষয়টা দলীয় নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করছে তা নিজেও ভালো করে জানেন সব্যসাচী। কারণ বিজেপি বরাবর বলে এসেছে, কে কোথায় প্রার্থী হবেন সেটা ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে না, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। 

আরও পড়ুন: বামেদের প্রার্থী তালিকায় বড় চমক! অবশেষে নতুন মুখে গুরুত্ব!

যদিও আপাতত যে খবর ছড়িয়েছে তার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই বিধাননগরে ‘যুদ্ধের’ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দুই শিবির। রাজনৈতিক ময়দানে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। একই দলে থাকাকালীন একে অপরের সঙ্গে কোনভাবেই প্রত্যক্ষ লড়াই চালাতে পারেননি সুজিত এবং সব্যসাচী, তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন সেই সুযোগ দিচ্ছে তাদের দু’জনকেই। হলফ করে বলা যায়, সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না কেউ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *