কলকাতা: সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবার আদালতে মুক্তির আবেদন করলেন। ইডি আদালতে আইনজীবী মারফত আবেদন করলেন তিনি। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয় এবং ২০১৩ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এখন তাঁর শাস্তির সর্বোচ্চ মেয়াদ অতিক্রান্ত। তাই সারদা মামলা থেকে মুক্তি চাইলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। উল্লেখ্য, আগেই জামিন পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু অর্থের অভাবে সেই শর্ত পুরণের টাকা দিতে পারেননি। আদালতের এই আবেদনে সেই কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। টাকা দিতে না পারার কারণেই প্রায় ৮ বছর বন্দি দশায় কাটছে।
আরও পড়ুন- মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার সদ্য বিবাহিত গৃহবধূ, গ্রেফতার শাশুড়ি ও দেওর
সুদীপ্ত সেনের আইনজীবীর বক্তব্য, ২০১৩ সালে সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এরপর এই কাণ্ডে তার বিরুদ্ধে আবার মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। যে ধারায় মামলা করা হয়েছিল সেই ধারায় সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ সাত বছর। ইতিমধ্যে ৭ বছর ১১ মাস জেল খেটে ফেলেছেন সারদা কর্তা। তাই এবার তাঁকে ইডির মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক বলে আবেদন করছেন তিনি। এখন টাকা দিতে না পারার প্রসঙ্গে সুদীপ্ত সেনের আর্জি সেই অর্থ মুকুব করে দেওয়া হোক। এখন যদি আদালত তাঁর কথা মেনে নেয় তাহলে পুজোর আগে মুক্তি পেতে পারেন সুদীপ্ত সেন। তবে তিনি মুক্তি পাবেন কী পাবেন না তা জানা যাবে ৪ অক্টোবর, কারণ সেদিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের স্বস্তি! বাড়ল রক্ষাকবচের মেয়াদ
তৃণমূল কংগ্রেস আমলে সারদা মামলা অন্যতম বড় বিতর্কিত বিষয়। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে একাধিক তাবড় নেতা এবং মন্ত্রীদের। এমনকি সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আবার তাঁর চিঠির প্রেক্ষিতে বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি পর্যন্ত চেয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি ছিল, শুভেন্দু অধিকারী সুদীপ্ত সেনের থেকে বিপুল টাকা নিয়েছেন। তিনি রাখালের নাম করেছেন যিনি তাঁর সহযোগী (বর্তমানে জেলে রয়েছেন)। পুলিশ সিবিআই এবং ইডির উচিত রাখালকে জেরা করা। তদন্তের স্বার্থে প্রভাবশালী শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করার দাবি তুলেছিলেন কুণাল।