কলকাতা: ভোট নিয়ে একাধিক দাবিতে মামলা দায়ের হয়ে আছে কলকাতা হাইকোর্টে। গতকাল পঞ্চায়েত মামলার শুনানি থাকলেও তা হয়নি, শুক্রবার হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী আজ মামলার শুনানি হয়েছে তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সংরক্ষণ তালিকা তৈরি করার আগে যে কর্মসূচি করেছিল সেই বিষয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন হলফনামা দিয়েছেন আদালতকে। কিন্তু তাতেও প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার SSC-র আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাই কোর্টে
আসলে কলকাতা হাইকোর্টে দাবি করা হয়েছে, সংরক্ষণ সংবিধান অনুয়ায়ী দেওয়া বাধ্যতামূলক। যে অনুপাতে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ দেওয়ার কথা তা ঠিক করার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। আরও বলা হয়েছে, ইলেকট্রোরাল রোল তৈরি করা একটা চলনশীল প্রক্রিয়া। একবার ইলেকট্রোরাল রোল তৈরি করে বার বার নির্বাচন করা যায় না। আদালতকে জানান হয়েছে যে, ২০১৮ সালের মে মাসে শেষ ভোট হয়েছে। আর ২০২১ সালের মার্চ মাসে শেষ গণনা। হিসেব অনুযায়ী, ১০ বছরে প্রায় ৮০ লক্ষ লোক নতুন করে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়। বছরে প্রায় ৮ লক্ষ করে। এর মানে ১৬ লক্ষ লোক এই হিসেবের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বনি নাকি ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো! হেসে খুন নেটপাড়া! Bonny trolled over ‘leading most hero’ comment” width=”560″>
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে এপ্রিল মাসে ভোট হতে পারে। কারণ প্রবল গরমে অর্থাৎ মে মাসে ভোট করাতে উদ্যোগী ছিলেন না খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেটি যে এখন আর হচ্ছে না এটা স্পষ্ট। আপাতত ইঙ্গিত মিলেছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর নির্বাচন নিয়ে ঘোষণা হতে পারে। দিনক্ষণ হয়তো তখনই জানাবে কমিশন। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট কোনও রায় দিচ্ছে ততক্ষণ ভোট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।