কলকাতা: লালন শেখ মৃত্যু মামলায় নতুন মোড়। এই ঘটনায় সিবিআই অফিসারদের নামে যে অভিযোগ রয়েছে তার বাতিল চেয়ে মামলা হল। অন্যদিকে রাজ্যের জমা দেওয়া কেস ডাইনির ভিত্তিতে সিবিআইয়ের কী বক্তব্য তা হলফনামা দিয়ে জানাবে তারা, এমনই নির্দেশ আদালতের। আগামীকাল এই মামলার ফের শুনানি। এদিন অবশ্য সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে হিংসা অভিযোগ আরও একবার করা হয়েছে রাজ্যের তরফে।
আরও পড়ুন- ফের কি হামলার শিকার বন্দে ভারত? যাত্রীদের বড় অভিযোগ
সোমবার বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে কেস ডাইরি চাওয়ার পর তা জমা দেওয়া হয়। রাজ্যের তরফে জানান হয়, অভিযোগকারীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ওদিকে হিংসার অনেক প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন যে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কারা তৈরি করেছেন। সবাই রামপুরহাট এলাকার স্থানীয় ডাক্তার কিনা। তার জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও রামপুরহাটের ডাক্তার মিলে বোর্ড তৈরি হয়েছিল। তবে লালন শেখের গলায় ও কিছু জায়গায় শুধু আঘাত আছে বলে হিংসা হয়েছে এমন কেন বলা হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়ায় রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রমাণ মিলেছে এবং তার ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। এদিন ডিআইজি সিআইডি উপস্থিত ছিলেন আদালতে।
সিবিআইয়ের আইনজীবী অবশ্য দাবি করছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আত্মহত্যা করেছিল লালন। ঘটনা চোখে পড়তেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ও তৎক্ষণাৎ বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। নিয়ম মেনে পুলিশকেও সাহায্য করা হয় বলে দাবি। তবে এও দাবি করে বলা হয়, থানার অভিযোগপত্র দেখলেই বোঝা যাবে যে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা সাজানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য এই বিষয় মানতে নারাজ। আইনজীবীর বক্তব্য, বগটুই ঘটনার অভিযুক্ত বলেই লালন শেখের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন নেই, এমনটা নয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। রেশমা বিবি যা অভিযোগ করেছেন তার তদন্ত হবেই। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি।