কলকাতা: মুকুল রায়ের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের বক্তব্য, যিনি মামলা করেছেন, তিনি অম্বিকা রায়, তিনি একজন বিধায়ক। বৃহত্তর ও মানুষের স্বার্থে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এক্ষেত্রে মামলাকারী বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। তাই এই মামলার কোন গ্রহণযোগ্যতাই নেই আদালতে জানালো রাজ্য সরকার। আগামী ১০ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির আগেই মামলাকারী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার স্বপক্ষে বক্তব্য লিখিত আকারে আদালতের কাছে পেশ করবেন, সে ক্ষেত্রে রাজ্যের যদি কোনো বক্তব্য থাকে তা তারা জানাতে পারেন। মামলার পরবর্তী শুনানি নিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির রাজেশ বিনদাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
মুকুল রায়কে ‘প্যাক’ চেয়ারম্যান ঘোষিত করার পর বিধানসভার আটটি কমিটি থেকে ইস্তফা দেন বিজেপি’র ৮ বিধায়ক৷ প্রথা ভেঙে মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদেই এই ইস্তফা৷ এই পুরো ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন, লোকসভায় ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রী হতেন এই পিএসির চেয়ারম্যান। কিন্তু এবার রাজ্য সরকার সেই সংবিধান ভেঙেছে। যারা খরচ করবেন তারাই কিভাবে হিসাব রাখবেন, এই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং এই প্রেক্ষিতেই বলেন যে যা হয়েছে সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।
আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় শিশুদের জন্য বিশেষ ডায়েট চার্ট স্বাস্থ্য দফতরের
বিজেপি মনোনীত প্রার্থী নন মুকুল রায়। কীভাবে তাঁকে ‘প্যাক’ চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হল? এক্সিকিউটিভের আর্থিক অনিয়ম দেখভাল হবে কী ভাবে? পরবর্তী ক্ষেত্রে, এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। তাঁর প্রশ্ন, দলত্যাগী মুকুল কেন পিএসি চেয়ারম্যান? অন্যদিকে আগেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে শুভেন্দু দাবি করেন, মুকুল রায় নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের। এদিকে বিধানসভায় ৬ জন বিজেপি সদস্যের মধ্যে তার নাম ছিল না। কিন্তু অধ্যক্ষ যে রেজিলিউশন দেন তাতে বলেন যে বিজেপির সদস্য মুকুল রায়কে বেছে নেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দুর দাবি বিজেপির দেওয়া তালিকা থেকে একজনকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত ছিল কিন্তু তা হয়নি।