কলকাতা: বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের রাজ্য সরকারের। কোনও মামলাতেই গ্রেফতার করা যাবে না শুভেন্দু অধিকারীকে, এমন রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই এক বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, বুধবারই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন- নতুন করে কোনো অর্থ বরাদ্দ নয়! নির্বাচন প্রসঙ্গে জানাল কমিশন
রাজ্যের পাঁচটি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে যে ৫টি এফআইআর দায়ের রয়েছে, সেই মামলায় উচ্চ আদালতের রক্ষাকবচ পেয়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ হাইকোর্টের নির্দেশ, কোনও মামলাতেই শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। ছ’সপ্তাহ পরে ফের ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই ডিভিশন বেঞ্চে চলে গেল রাজ্য সরকার। গতকাল এই মামলার শুনানিতেই বলা হয়, তিনটি থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত বন্ধ থাকবে৷ তবে তমলুক ও মানিকতলা থানায় তদন্ত চালাবে পুলিশ৷ উল্লেখ্য, মানিকতলা থানায় চাকিরর নামে প্রতারণা মামলা দায়ের রয়েছে৷ সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় তদন্ত যেমন চলছে, তেমনই চলবে। এই মামলায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে বিরোধী দলনেতাকে৷ এমনকী প্রয়োজন মনে করলে পুলিশ তাঁর সুবিধামত জায়গায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে৷ উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম, কাঁথি, পাশকুড়া, তমলুক ও মানিকতলা থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে৷
আরও পড়ুন- চন্দনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি ফোন, অভিযোগ কৃষ্ণর ‘প্রথম স্ত্রী’র
এদিকে, আবার শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলায় বিচারপতি জানতে চান, হঠাৎ করে ৩ বছর পর কেন নড়ে চড়ে বসলেন মৃতের স্ত্রী? ৩ বছর পর কেন মনে হল তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে? অন্যদিকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, শুভেন্দু অধিকারী কেন তদন্ত বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে? এই মামলায় তিনি তো মূল অভিযুক্ত নন। তাঁকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে। তদন্তে সাহায্যের উদ্দেশেই তলব৷ তিনি কেন ভেবে নিচ্ছেন যে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে?’