কলকাতা: বাংলার কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালে আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজ্যের মোট ৭৯ টি হাসপাতালে এই বিভাগ খোলা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের ৫৯ টি হাসপাতাল রয়েছে। প্রতি জেলায় যে ২৪ শয্যার যে হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরি করা হবে তার মধ্যে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট থাকবে ৮ শয্যার। বাকি ১৬ টি শয্যায় হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটের ব্যবস্থা থাকবে। এই জন্য নির্বাচিত হাসপাতালগুলিতে সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের ভবন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে রাজ্যের গঠিত SIT-এর মাথায় মঞ্জুলা চেল্লুর
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে এর আগেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। যেহেতু এখন তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা প্রবলভাবে রয়েছে তাই চিকিৎসা পরিকাঠামোয় বেশি করে নজর দেওয়া হচ্ছে। আগেই জানা গিয়েছিল যে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে রাজ্য সরকার গোটা রাজ্যে ৪ হাজার ৬৬১ টি নতুন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ২০০ টি শহর এলাকায় এবং বাকি ৪ হাজার ৪৬১ টি গ্রামীন এলাকায় তৈরি করা হবে। প্রস্তাবিত উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির জন্যে জমি চিহ্নিত করার পাশাপাশি কোন সরকারি ভবন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে সেটি চিহ্নিত করতে জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতি ৫ হাজার জনসংখ্যার জন্য একটি করে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রয়োজন। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।
আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র
এদিকে আবার করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কা আটকাতে ৭টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওপর বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, বসনিয়া, এই ৭টি দেশ থেকে নতুন প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই নতুন গাইড লাইন জারি করেছে।