কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় বিজেপির পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। পরিকল্পনামাফিক ফল করতে পারেনি তারা, এদিকে একের পর এক নেতাদের বিস্ফোরক মন্তব্যে জর্জরিত হয়ে গিয়েছে দল। মূলত তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা নেতাদের নিয়ে সার্বিকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ গেরুয়া ব্রিগেড। হলফ করে বলা যায় এই অবস্থা আদতে শুরু হয়েছে মুকুল রায়ের দলবদলের পর। একে একে বেসুরো হয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ, এমনকি সব্যসাচী দত্ত। এবার এই বিজেপি নেতাকে ঘিরেই জল্পনা বৃদ্ধি হল কারণ তাঁর নিরাপত্তায় রদবদল ঘটেছে।
সূত্রের খবর, সব্যসাচী দত্তের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে নিরাপত্তা দিয়েছে রাজ্য। এখন কথা হল, দল ছেড়ে যাওয়ার পর নেতাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেয় শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সব্যসাচী দত্ত এখনো পর্যন্ত খাতায়-কলমে বিজেপি নেতা। তাই হঠাৎ করে তাঁর নিরাপত্তায় রদবদল কেন ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু এই ব্যাপারে সব্যসাচী নিজে বলছেন, তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়েননি তবে রাজ্যের একজন নিরাপত্তারক্ষী তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। তবে এখানেও কৌতুহল কিছু কম নয় কারণ দলবদল করে যারা বিজেপিতে গিয়েছিল তাদের রাজ্য নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এখন তাহলে সব্যসাচীর সঙ্গে কি করে রাজ্যের নিরাপত্তা বহাল থাকে তা অবশ্যই জানার বিষয়। কৌতুহল আরো বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হল সব্যসাচী-মুকুল সাক্ষাৎ। জানা গেছে সম্প্রতি তৃণমূলে ফিরে আসা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবে সব্যসাচীর ক্ষেত্রে দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। যদিও বিজেপি নেতার কথায়, তাঁর সঙ্গে মুকুল রায় সম্পর্কে একেবারেই পারিবারিক।
আরও পড়ুন- জট কাটল উচ্চ প্রাথমিকে, স্থগিতাদেশ তুলে দিল হাইকোর্ট
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে যখন এর আগে দলবদল জল্পনা তৈরি হয়েছিল তখন তৃণমূল নেতা হিসেবে তিনি একাধিকবার দেখা করেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে। তখন তিনি মুখে কিছু না বললেও অবশেষে সেই মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবারও কি সেই একই রকমভাবে পালা বদল ঘটতে চলেছে সব্যসাচী রাজনৈতিক জীবনে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলা বাকি। তবে তার থেকেও বড় প্রশ্ন হল, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কি এই দল বদল করতে চাইবে? অবশ্যই এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আপাতত সব্যসাচীকে নিয়ে জল্পনার জল বেশ ঘন হচ্ছে।