কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বামেদের চাক্কা জ্যাম রুখতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত রাজ্যের

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বামেদের চাক্কা জ্যাম রুখতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত রাজ্যের

কলকাতা:  আগামী ২৬ নভেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট৷ বনধের সমর্থনে রবিবার হাওড়ায় মিছিল করে সিপিএম-সহ বাম ও সহযোগী দলগুলি৷ এদিন বনধের সমর্থনে ধর্মতলা থেকে মৌলালি পর্যন্ত হাঁটেন বাম-কংগ্রেস সমর্থকরা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ডাকা এই ভারত বনধের তীব্র বিরোধিতা করেছে রাজ্যের শাসক দল৷  বনধ ব্যহত করতে মরিয়া তৃণমূল৷ এদিকে, তৃণমূলের এই বিরোধিতার পাল্টা সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএম৷ 

আরও পড়ুন- আলুর দাম থেকে করোনা টিকা, সরকারি সভামঞ্চে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

বাম-কংগ্রেস জোটের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিটি গরিব পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে হবে৷ সেইসঙ্গে বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা, বেকারদের চাকরি ও মাথাপিছু নূন্যতম ১০ কেজি রেশন দিতে হবে৷ নারী নিরাপত্তার ইস্যুতেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ এই সকল দাবি পূরণ করতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন এবং সারা ভারত কিষাণ কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ ১০টি শ্রমিক সংগঠন।

অন্যদিকে বামেদের ডাকা ধর্মঘট ব্যর্থ করতে পরিবহণ দফতরে বসেছিল বৈঠক৷ ২৬ নভেম্বর পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখতেই বৈঠক করে প্রশাসন৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার অফ পুলিশ (ট্রাফিক)৷ রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় ধর্মঘটের বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘বনধ ডাকাটা সিপিএমের রাজনৈতিক কর্মসূচির অঙ্গ৷ কিন্তু এই অতিমারির মধ্যে বনধ হলে তা সাধারণ মানুষের রুজিরুটিতে আঘাত করবে৷ আমরা এই বনধ সমর্থন করি না৷’’ 

আরও পড়ুন- ‘রাজ্যের গড়িমসি’! বাংলায় হল না স্পুটনিক ভি’র ট্রায়াল, তোপ দিলীপের

তবে ট্রেড ইউনিয়নগুলির বক্তব্য, মোদী সরকার যে ভাবে একের পর এক কৃষক ও শ্রমিক বিরোধী নীতি গ্রহণ করে চলেছে, তাতে তারা নাখুশ৷ অভিযোগ, এই সকল নীতি প্রবর্তন করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে৷ মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হচ্ছে৷ এর প্রতিবাদেই তারা ধর্মঘটের পথে হাঁটবে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 4 =