‘চাকরিই করি না, ভুয়ো-তালিকায় নাম কী ভাবে?’ আচার্য ভবনে একের পর এক চিঠি

‘চাকরিই করি না, ভুয়ো-তালিকায় নাম কী ভাবে?’ আচার্য ভবনে একের পর এক চিঠি

64f252d00cb24d35dd7385df5f017b6a

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দু’দফায় ২২৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কিন্তু সেখানেও গড়মিল৷ আচার্য ভবনে পৌঁছল ৩০টি চিঠি৷ সেখানে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা তো চাকরিই পাননি৷ তাহলে ভুয়ো সুপারিশের তালিকায় তাঁদের নাম এল কোথা থেকে? কেউ কেউ বলছেন, এই তালিকাতেও দুর্নীতি হয়েছে৷ আড়াল করা হয়েছে প্রকৃত ভুয়ো প্রার্থীদের৷ যাঁরা চাকরিই করেন না, তাঁদের নাম কী ভাবে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় এল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে৷ 

আরও পড়ুন- রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মন্তব্যে ফের প্রকট তৃণমূলের আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব! ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের বদল হতেই ক্ষোভ?

এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘ কিছু প্রার্থীর নাম যে সুপারিশ করা হয়েছিল,  সেটা নিজেই জানিয়েছে এসএসসি। যাঁর নামে সুপারিশ তিনি চাকরি পাননি, পেয়েছেন অন্য কেউ৷ কি ভাবে সম্ভব? এই নিয়ে আরও গভীর তদন্ত হওয়া উচিত।’ অন্যদিকে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের দাবি, অনায্যভাবে এই প্রার্থীদের নাম অযোগ্যদের তালিকায় তোলা হয়েছে৷ এ ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁদের দাবি৷ 

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রথমে ১৮৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। জানা যায়, সেই তালিকা নাম থাকা ১০২ জন প্রার্থী চাকরিতে যোগই দেননি। পরে ফের আরও ৪০ জন ভুয়ো প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। সেই সঙ্গে  প্রকাশ করা হয় ওএমআর শিটও। যেখানে দেখা যায়, বেশির ভাগ উত্তরপত্রেই নাম আর রোল নম্বর ছাড়া আর কিছু লেখা নেই৷ এই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা বেপাত্তা৷ আগামী দিনে আরও বড় দুর্নীতির রহস্য ফাঁস হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় শিক্ষা মহল৷