নিজেদের টিকিয়ে রাখতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘পিসি-ভাইপো’! আক্রমণ শ্রাবন্তীর

নিজেদের টিকিয়ে রাখতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘পিসি-ভাইপো’! আক্রমণ শ্রাবন্তীর

কলকাতা: একের পর এক টলিউডের তারকা এখন রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে প্রত্যক্ষ পদার্পণ করেছেন। কেউ গিয়েছেন ঘাসফুলে, কেউ পদ্মে। অভিনেত্রী শ্রাবন্তী সেই তালিকা থেকে বাদ নন। কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড জনসভাতেও উপস্থিত ছিলেন নায়িকা। তাই এবার হয়তো নিজের অভিনেত্রী সত্ত্বাকে একপাশে রেখে নেত্রী হওয়ার প্রচেষ্টা করছেন তিনি। তাই একযোগে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অবশ্য তাঁর আক্রমণ থেকে বাদ যাননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিস্ফোরক মন্তব্য করে টুইট করেছেন শ্রাবন্তী।

আরও পড়ুন: একদা ছায়াসঙ্গী এখন বিজেপিতে! মিঠুন সম্পর্কে নীরব ‘অভিমানী’ মমতা!

বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে তিনি কারোর প্রতি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেননি। কিন্তু বিজেপির ব্রিগেডের পর যেন সব বদলে গিয়েছে। গতকাল বিজেপির ব্রিগেডের দিনই টুইট করে শ্রাবন্তী লিখলেন, “বেশিরভাগ নেতা এবং কর্মী আর মন্ত্রীরা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে তার কারণ, ‘পিসি-ভাইপো’ রাজনীতি! দুজনে শুধুমাত্র নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে!” এই মন্তব্য করে তিনি আদতে কাকে কাকে আক্রমণ করেছেন তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত, একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এই অভিনেত্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এখন সব অতীত। এখন শ্রাবন্তী প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর অনুপ্রেরণায় গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, উদ্দেশ্য একটাই, ‘সোনার বাংলা’ গড়া।

আরও পড়ুন:  চাই না কেউ চোট পাক, কিন্তু স্কুটি যদি নন্দীগ্রামে…! মমতাকে কটাক্ষ মোদীর

বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, যারা তাঁকে ভালবেসে এসেছেন তাদের জন্য কিছু করতে চান তিনি। সেই কারণেই তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন, এবং তাঁকে সুযোগ দেওয়ার জন্য দলের বাকিদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুসরণ করেন, তিনি যা দেশের জন্য করেন তার অনুপ্রেরণাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এদিকে, তৃণমূলের প্রতি তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, যখন সবাই ছিল, তখন তিনিও তৃণমূলের মঞ্চে থাকতেন। মোহভঙ্গ সেইভাবে না হলেও তাঁর মনে হয়েছে যে বিজেপি রাজ্যের জন্য, দেশের জন্য বিকাশ করতে পারছে, পরিবর্তন আনতে পারছে, তাই তিনি এই দলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − two =