কলকাতা: অতীতে একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সম্প্রতি কার্যত সকলকে চমকে গিয়ে বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরে ব্যাপক চর্চা রয়েছেন তিনি। বিজেপি শিবিরের নাম লেখানোর পর তাঁকে নিয়ে আলোচনা আরো বেড়ে গিয়েছে, কারণ দলে যোগ দেওয়ার পরেই বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এই কেন্দ্রে তার বিরুদ্ধে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী নিহার ভক্ত। লড়াই যে বেশ কঠিন হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু জেতার ব্যাপারে শ্রাবন্তী পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী, বলছেন নিজেই।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নিজেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তিনি কখনোই পোক্ত রাজনীতিবিদ নন। তবে একটা ব্যাপার তিনি ভাল বোঝেন, সেটা হল জনসংযোগ। তাই প্রার্থী হওয়ার পরবর্তী সময় থেকেই বেহালা পশ্চিমের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করছেন শ্রাবন্তী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, যে বিধানসভা এলাকায় তিনি প্রার্থী হয়েছেন সেখানে মানুষের থেকে যথাযথ সাড়া পাচ্ছেন তিনি, তাদের সমস্যার কথা বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, বেহালা পশ্চিমের লড়াই যথেষ্ট কঠিন হলেও তিনি জিতবেন! প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর শ্রাবন্তী নিজে জানিয়েছিলেন যে তিনি বেহালার মেয়ে, এখনো এখানকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খান তিনি। অতএব বেহালার মানুষ যে তাকে গ্রহণ করবেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ রাখেননি শ্রাবন্তী। তবে অবশেষে তার মুখে চওড়া হাসি বজায় থাকে কিনা তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২ মে পর্যন্ত।
আরও পড়ুন- ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের ব্যাখায় মমতা! বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনে পৌঁছে যাবে জল
বিজেপির তালিকা প্রকাশের পর বিভিন্ন জায়গায় চরম বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কারণ, নির্দিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থীদের পছন্দ নয় কর্মীদের একাংশের। বেহালার দুটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক বহাল ছিল। তার কারণ অবশ্যই শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বেহালা পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়, সেই প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছিল এই কেন্দ্রে বিজেপি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করবে। অন্যদিকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বেহালার অন্য কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন। যদিও বাস্তবে সেটা হয়নি এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে দল ছেড়েছেন দুজনেই। বেহালা পূর্বে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী পায়েল সরকার, পশ্চিমে শ্রাবন্তী। তবে মাঝে জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে পায়েল সরকারকে বেহালা পশ্চিমে প্রার্থী করে, বেহালা পূর্বে প্রার্থী করা হবে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তবে সেই জল্পনারও এখন আর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।