হাঁসখালি: গণধর্ষণ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আসার পরেই তৎপরতা বেড়েছে হাঁসখালিতে। ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছ থেকে এফআইআর কপি চেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তদন্ত শুরুর মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এল। হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া বিছানার চাদরে মিলেছে বীর্যের নমুনা। এমনই খবর পুলিশ সূত্রে। এই নমুনা থেকেই তদন্ত আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে পড়লেন হাঁসখালির নির্যাতিতার বাবা-মা, যেতে হল হাসপাতালে
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ছাড়াও আরও কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছে। মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে কোন ঘরে ধর্ষণ হয়। সেখান থেকেই একটি বিছানার চাদর সংগ্রহ করে এনেছিলেন তদন্তকারীরা। তা থেকেই বীর্যের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও রক্তমাখা এক কাপড়ের টুকরো হাতে পেয়েছে পুলিশ। সেটি থেকেও অনেক কিছু জানা যাবে বলে অনুমান সকলের। এই রক্তমাখা কাপড় নির্যাতিতার এক আত্মীয় পুলিশকে দিয়েছিল। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন যে, বিগত কয়েক দিনে যখন পুলিশ তদন্ত করছিল তখন তা কেন দেওয়া হয়নি। তবে আপাতত যে নমুনা পাওয়া গিয়েছে তা নিয়েই তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে আধিকারিকরা।
তবে এখানে আরও একটি প্রশ্ন রয়েছে। ওই রক্তমাখা কাপড়ে নির্যাতিতারই রক্ত রয়েছে কি না সেটা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এটা স্পষ্ট করতে গেলে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ পরীক্ষা জরুরিু। যা এখনও করা সম্ভব হয়নি। এদিকে নির্যাতিতার বাবা-মাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে নিহত নাবালিকার বাবা ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগছেন। মা জ্বরে আক্রান্ত। দুজনকে চিকিৎসার জন্য বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন, তাই তারা ভর্তি হয়ে যান। পরিবারের তরফে জানান হয়েছে যে, যা ঘটেছে তাতে মানসিকভাবে দুজনেই ভেঙে পড়েছেন। তাই নিজেদের দিকে খেয়াল রাখার কোনও অবকাশ নেই তাদের। অনেকেই মনে করছেন, মেয়ের মৃত্যু তো বটেই, তার চরিত্র নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তাতে আরও মানসিক বিপর্যয় হয়েছে তাদের।