হাঁসখালি: মানসিকভাবে তারা যে কতটা বিধ্বস্ত তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। নদীয়ার হাঁসখালির ওই নির্যাতিতার বাবা-মা এখন কী অনুভব করছেন তা হয়তো কেউ বুঝতে পারছে না। আর এটাই তাদের শরীরে প্রভাব ফেলছে। জানা গিয়েছে, হাঁসখালির নির্যাতিতার বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে রাজভবনের সামনে বিজেপি’র তুমুল বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
ঠিক কী হয়েছে তাদের? নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে নিহত নাবালিকার বাবা ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগছেন। মা জ্বরে আক্রান্ত। দুজনকে চিকিৎসার জন্য বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন, তাই তারা ভর্তি হয়ে যান। আপাতত চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই তারা আছেন। পরিবারের তরফে জানান হয়েছে যে, যা ঘটেছে তাতে মানসিকভাবে দুজনেই ভেঙে পড়েছেন। তাই নিজেদের দিকে খেয়াল রাখার কোনও অবকাশ নেই তাদের। অনেকেই মনে করছেন, মেয়ের মৃত্যু তো বটেই, তার চরিত্র নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তাতে আরও মানসিক বিপর্যয় হয়েছে তাদের।
অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ায় খুশি নির্যাতিতার পরিবার৷ তাঁরা চাইছেন, ‘‘দোষীদের ফাঁসি হোক।’’ চোখে জল নিয়ে কাতর আবেদন পরিবারের। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর তাদের আস্থা নেই। তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যেই তদন্তের যাবতীয় নথি রাজ্য পুলিশকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ তারই ভিত্তিতে হাঁসখালি থানায় গিয়ে যাবতীয় নথি সংগ্রহ করে তদন্তে নামতে চলেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷