কলকাতা: ভোটের আগে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি৷ সোমবার উষ্ণতার পারদ চড়িয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ৷ কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? সাংবাদিক বৈঠকে এর ব্যাখ্যা দিয়ে সৌমিত্র বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই একটা জ্যোতিষীর সঙ্গ জুটেছিল৷ ড্রাইভারের মুখে শুনলাম, ওই জ্যোতিষীর নাকি বলেছে তৃণমূলে গেলে বড় জায়গা পাবে। বাচ্চা মেয়ে, ভুল করল।’’ একথা বলতে বলতেই চোখে জল চলে আসে সৌমিত্র খাঁ-র। তবে স্ত্রীর সাফস্য কামনা করেন তিনি৷
আরও পড়ুন- রাজনীতির স্বার্থে কারও ঘর ভেঙে দেবেন না, আর্জি জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিকে তৃণমূলে যোগ দিতেই সুজাতাকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি৷ চোখে দল নিয়ে তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে বুঝতেই পারিনি কখন তৃণমূল ঘরের লক্ষ্মীকে চুরি করে নিয়ে গিয়েছে৷ তাঁর কথায়, বাচ্চা মেয়ে৷ ওঁর উচ্চাকাঙ্খা ছিল। সেই জন্যই এই ভুল সিদ্ধান্ত নিল৷ ও আমাকে বলত, বিজেপিতে তুমি বড় পদ পেলে, আমি কেন পেলাম না। লোকসভা ভোটের সময় বিষ্ণুপুরে ও আমার জন্য লড়াই করেছিল৷ আমি তা অস্বীকার করছি না৷ আমার জয়ের জন্য মান্যতা পেয়েছিল ও। কিন্তু বিজেপি পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়৷ তাই একই পার্টিতে দু’জন দুটো পদ পেতে পারে না। কিন্তু অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ওঁকে নিজেদের মেয়ের মত ভালোবাসতেন। অমিত শাহ তো বলতেন, ওই আসল সাংসদ। আমি ওঁকে স্বপ্ন দিয়ে ভালবাসা দিয়ে মুড়ে রাখতে পারি। কিন্তু ও যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আর কোনওদিন এক হওয়া সম্ভব নয়৷ আমি খাঁ পদবী থেকে ওঁকে মুক্ত করছি৷
আরও পড়ুন- গরু পাচারকাণ্ডে জামিন পেলেন বিএফএফ কর্তা সতীশ কুমার
সৌমিত্র বলেন, আমি নিজে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের বিরোধিতা করে দল ছেড়েছিলাম৷ এক সময় তৃণমূলই ওঁর চাকরি খেয়েছিল৷ কিন্তু ওঁকে বুঝতে দিইনি৷ প্রতি মাসে ওঁর অ্যাকাউন্টে ৭০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি৷ কিন্তু সেই লক্ষ্মীকে তৃণমূল চুরি করে নিয়ে গেল৷